৮০ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও তার স্ত্রী আফরিন তাপসের নামে আলাদা দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
রবিবার সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম ও সহাকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের মামলার বিষয়টি জানিয়েছেন।
তাপসের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ঢাকা-১০ ও ঢাকা-১২ আসনের এমপি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন।
ফজলে নূর তাপস নিজের নামে ২৭টি ব্যাংক হিসাবে ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩০৪ কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৮ টাকা জমা ও ২৩৪ কোটি ৮২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকা উত্তোলন করে মোট ৫৩৯ কোটি ১৬ লাখ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামি ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া আরেক মামলায় ফজলে নূর তাপসের স্ত্রী আফরিন তাপসের বিরুদ্ধে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৪০ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ অবৈধ অর্থ উপার্জনে সহায়তা করার জন্য তার স্বামী শেখ ফজলে নুর তাপসকেও আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আফরিনের নিজ নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৭০ কোটি ৮৯ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৯ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।