পাঁচদিন পর ইন্টারনেট চালু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল দুঃসংবাদ। মারা গেছেন ব্যান্ডতারকা শাফিন আহমেদ।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া থেকে সকালে মাইলসের এই সাবেক ফ্রন্টম্যানের মৃত্যু সংবাদে শোক নেমে আসে বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জগতে। ফেইসবুক ও ইউটিউবের ঢুকতে নানা সমস্যার কারণে প্রথম কয়েক ঘণ্টা তাই এই কিংবদন্তী শিল্পীর মৃত্যৃর খবর সঙ্গীতাঙ্গনের অনেকেই জানতেন না।
শিল্পী সামিনা চৌধুরী তার এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, শাফিন আহমেদের সঙ্গে তিন দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় তার দেখা হয়েছিল। তখনও শাফিন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বারংবার সামিনা চৌধুরীকে বলছিলেন থেকে যেতে। এমনকি ‘নিজের মৃত্যুর কথাও আগাম’ বলেছিলেন এ শিল্পীকে।
শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ওয়ারফেজ ব্যান্ডের দলনেতা ও ড্রামার শেখ মনিরুল আলম টিপু সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “উনি তো বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির একজন কিংবদন্তী ছিলেন, এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। তাদের প্র্যাক্টিস প্যাডে আমরা যেতাম, তার সঙ্গে দেখা হতো, কথা হতো মিউজিক নিয়ে। তাকে খুব মিস করতাম সবসময়। আর বিভিন্ন প্রোগ্রামে আমাদের দেখা সাক্ষাৎ হতো। সব কিছু মিলিয়ে অনেক কিছুই আছে… কী বলবো আর! সবসময় কীভাবে ভালো গান হবে, কোথায় কী হচ্ছে, কীভাবে আরও ভালো করা যায়- এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করতাম। আজকে সকাল ৭টায় উনার চলে যাওয়ার সংবাদ পেয়েছি।”
ব্যান্ড সংগীতের আরেক কিংবদন্তী মাকসুদের সঙ্গে কথা হলে তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “খবরটা শোনার পর থেকে আমার মানসিক অবস্থা একেবারেই ভালো নাই। কিছুই ভালো লাগছে না। এখন এসব নিয়ে কথা বলবো না ভাই। পরে কথা বলি?”
১৯৭৯ সালে বড় ভাই হামিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে যোগ দেন ব্যান্ড দল ‘মাইলসে’, যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জনপ্রিয়তায় সামনের সারির একটি ব্যান্ড। এই ব্যান্ডের ভোকাল ও বেইজ গিটারিস্ট ছিলেন শাফিন।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ড দল মাইলসের সঙ্গে ছিলেন না শাফিন। কয়েক বছর আগে মাইলস থেকে বেরিয়ে গড়ে তোলেন নিজের নতুন ব্যান্ড ‘ভয়েস অব মাইলস’।