দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং খাতের তারল্যকে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে যে সুকুকগুলো চালু আছে, তেমনি বিনিয়োগে পঞ্চম সুকুক চালুর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের বিপরীতে এর ব্যয় হবে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সেখানে বলা হয়, প্রকল্পটির মাধ্যমে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রকল্প এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও অকৃষি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজীকরণ ও ব্যয় হ্রাস এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত হচ্ছে।
দেশি বিদেশি ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের সুকুকে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক/ফাইন্যান্স কোম্পানি/বীমা কোম্পানির অনুকূলে ৭০ শতাংশ, সনাতনী ধারার ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্রাঞ্চ ও উইন্ডোজর অনুকূলে ১০ শতাংশ এবং ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারী, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিপোজিট ইন্সুরেন্স প্রভৃতি বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে ২০ শতাংশ সুকুক বরাদ্দের হার নির্ধারণ করেছে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সব সনাতনী ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা কোম্পানি শর্তসাপেক্ষে নিলামে অংশ নিতে পারবে। তবে ওই ৩টি শ্রেণিতে প্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন না পাওয়া গেলে তাদের মধ্যে অবশিষ্ট সুকুক আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
নিবাসী ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা তাদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবে। অনিবাসী ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে কার্যরত যেকোনো ব্যাংকে তার/তাদের নামে পরিচালিত অনিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব অথবা অনিবাসী টাকা হিসাবের মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবে এবং মুনাফা, বিক্রয়লব্ধ অর্থ ও মেয়াদপূর্তিতে প্রাপ্ত আসল বৈদেশিক মুদ্রায় (সব প্রযোজ্য ফি এবং/অথবা কর কর্তনপূর্বক) প্রত্যাবাসনযোগ্য।
২০২৫ সালের মার্চে আলোচ্য প্রকল্পটির বিপরীতে ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক ইস্যুর পরিকল্পনা করছে সরকার।
২০২০ সালের পর দেশে প্রথমবারের মতো সুদমুক্ত সুকুক বন্ড চালু করে সরকার। এর ফলে ইসলামিক ব্যাংকগুলো তাদের সংগৃহীত আমানত এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারছে। এ পর্যন্ত ৪টি বিনিয়োগ প্রকল্পে ২০ হাজার কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ এসেছে সুকুক থেকে।