একটা দলের কোচ যখন দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেই বলে দেন সামনে যা পাব সব বোনাস, তাহলে ওই দলের লক্ষ্য সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। এই বিশ্বকাপে তবে চন্ডিকা হাথুরসিংহে সেমিফাইনালের চিন্তাই করেননি। ভারতের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে কোচের সঙ্গে একমত হতে পারেননি সাকিব আল হাসান। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের হারকে দেশের ক্রিকেটের উন্নতির মাত্রায় খুব হতাশাজনক বলেছেন।
২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপে সুপার এইটে উঠেছিল বাংলাদেশ। এরপর কোন আসরেই দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রাখা হয়নি। এবার দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা তাই বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু। হাথুরু এই ভালোতেই সন্তুষ্ট হয়ে গেলেন। ব্যাপারটি সাকিবের কাছেও ভালো লাগেনি। বলেছেন, “জানি না কোচ কি কথা বলেছেন। মুখে যদি বলেও থাকে তার ভেতরে এই বিশ্বাস ছিল না হয়তো, এই চিন্তা করেনি (দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা)। আমরা চিন্তা করছিলাম ভালো কিছু করব।”
তবে দ্বিতীয় রাউন্ডের পারফরম্যান্সে হতাশ দেশ সেরা অলরাউন্ডার। কবে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলার মতো দল হবে তা নিজেও বলতে পারছেন না, “ফলাফল বা মাঠের পারফরম্যান্স দেখলে আমরা কোনো লড়াই-ই করতে পারেনি। অবশ্যই হতাশাজনক, বড় দুই দলের সাথে খেললাম যারা বিশ্বকাপের দাবিদার। ওদের বিপক্ষে আমাদের ঘাটতি স্পষ্ট। এত বেশি ঘাটতি এখনও আছে এটা খুব হতাশাজনক। এতদিন ধরে এই ফরম্যাট খেলছি, ২ বছর পরপর বিশ্বকাপ হয়, দ্রুত শুধরে নেওয়ার সুযোগ থাকে। কবে এসব (বড় দল হয়ে ওঠা) ঠিক হবে এটা সময়ের উপর ছেড়ে দিতে হবে, বলা মুশকিল।”
টস জিতে আগে বোলিং নেওয়ায় বেশ সমালোচনা হচ্ছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের। সাকিব সরাসরি সমালোচনা করেননি। তবে চলতি বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান টেনে বলেছেন, “ব্যক্তিগতভাবে বললে বলব, ক্যারিবিয়ানে একটি ম্যাচে ইংল্যান্ড ১৮০ তাড়া করল, এছাড়া বাকি ম্যাচগুলোতে আগে ব্যাট করা দলই বেশি সফল। এই পরিসংখ্যান দেখলে হয়তো মনে হবে আগে ব্যাট করাই ভালো ছিল।”
তবে কঠিন সময়ে অধিনায়ক শান্তর পাশে দাঁড়ালেন সাকিব, “অধিনায়ক ও কোচ অন্যভাবে ভেবেছে। সিদ্ধান্তটা অধিনায়কের। ভালো করলে তার কৃতিত্ব হতো। খারাপ করলে কোচ-অধিনায়কের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলি। এটা খুবই স্বাভাবিক, যৌক্তিক। তবে এটাই খেলা। প্রথম ২ ওভারে ২ উইকেট নিলে মনে হতো খুব ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন মনে হয়েছে আগে ব্যাটিং করলে ভালো হতো।”