দিল্লি অরুন জেটলি স্টেডিয়ামের পাশের মূল সড়কে দাঁড়িয়ে দুই বাংলাদেশী। হাতে সাকিব আল হাসানের ছবি দেওয়া ছোট ব্যানার। তাতে লেখা- আমি তোমাকে ভালোবাসি এবং সবসময় মিস করবো সাকিব। অথচ সাকিব তো অবসর নিয়েছেন কানপুর টেস্টে। দিল্লিতে তো তার আলোচনায় থাকার কথাই না। আজ তো মাহমুদউল্লাহর নামে ব্যানার থাকার কথা।
মজার ব্যাপারটি রাজিব হাসান রাজনকে জিগাস করতেই জানা গেল। আসলে তিনি সাকিবের অবসর পর্যন্তই আপডেট আছেন। মঙ্গলবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে যে মাহমুদউল্লাহও এই ফরম্যাট থেকে অবসর বলেছেন তা তিনি জানেনই না।
আক্ষেপ করে কাওয়ান রাজারের একটি আইটি ফার্মে চাকরি করা ক্রিকেটপ্রেমী সকাল সন্ধ্যাকে বলছিলেন, “আসলে আমি গত দুই দিন ধরে সফর করছিলাম। রাস্তায় থাকায় খুব একটা খবর নেওয়া হয়নি। আমি এই ম্যাচটা দেখতে এসেছি সাকিবকে স্মরণ করে।”
সাকিবের মতো মাহমুদউল্লাহকেও অসম্ভব পছন্দ করেন এই রাজিব। মাহমুদউল্লাহর জন্য একটি ব্যানার আনতে না পারায় আক্ষেপ হচ্ছে তার, “আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবাইকেই পছন্দ করি। বিশেষ করে এতদিন যারা অবদান রেখেছেন। তারা এখন বিদায় নিচ্ছেন এটা খারাপ লাগছে। তবে থাকতে তো হবেই। আমার যদি জানা থাকতো মাহমুদউল্লাহও অবসর নিয়েছেন তাহলে তার প্রতি ভালোবাসা রেখে আরও একটি ব্যানার নিয়ে আসতাম।”
দিল্লিতে রাজিব তার বন্ধু আবু সায়েদের বাসায়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন বিভাগের কর্মরত সাইদ পিএচডি করছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানেও তার পড়ার বিষয় ফিজিক্যাল এডুকেশন। তার বাড়ি থেকে দিল্লি স্টেডিয়াম কাছে বলে বন্ধুর জন্য খেলা দেখার টিকিট আগেই কেটে রেখেছিলেন। কিন্তু তিনিও খবর রাখেননি যে মাহমুদউল্লাহ অবসরের কথা বলেছেন।
আবু সাইদ জানিয়েছেন, “আমি খুব একটা খেলা অনুরাগী নই। রাজিব অনেক অনুরোধ করায় ওর জন্য টিকিট কেটেছি। আমিও জানি না মাহমুদউল্লাহ অবসর নিয়েছে যে। মাঠে এসে শুনলাম।”
তবে দুই বন্ধুই সাকিব-মাহমুদউল্লাহ দুজনের বিদায়ে ব্যথিত। একই ভাবে সাকিব আল হাসানকে দেশের মাটিতে অবসর নিতে দেখতে চান রাজিব। দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিব তার শেষ ম্যাচ খেলেলে সে ম্যাচেও গ্যালারীতে থাকার কথা জানালেন তিনি।