Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

ভারতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পায়ের চাপায় গেল শতাধিক প্রাণ

রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে হাথরস শহরে এ ঘটনা ঘটেছে।
রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে হাথরস শহরে এ ঘটনা ঘটেছে।
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

ভারতের উত্তর প্রদেশে হিন্দুদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পয়ের নিচে চাপা পড়ে নারী-শিশুসহ অন্তত ১০৭ জন নিহত হয়েছে।

রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে হাথরস শহরে এ ঘটনা ঘটেছে।

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীও শোক প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের কর্মীদের উদ্ধার ও ত্রাণ প্রচেষ্টায় সাহায্য করার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের আদেশ দিয়েছেন।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, মঙ্গলবার ‘সৎসঙ্গ’ (প্রার্থনা সভা) চলার সময় পদদলিত হওয়ার এ ঘটনা ঘটেছে। তখন একজন ধর্মগুরু বিশেষভাবে স্থাপিত তাঁবুতে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেখানে প্রচুর লোক ছিল।

পুলিশ বলছে, অনুষ্ঠানস্থলে খুব গরম ছিল এবং বাতাস অনেক বেশি আর্দ্র ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অক্সিজেন কমে যাওয়ায় শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় ‘সৎসঙ্গে’ অংশ নেওয়া লোকদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়। এরপরই লোকজন ছোটাছুটি শুরু করলে ধাক্কাধাক্কিতে অনেক মাটিতে পড়ে যায় এবং পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

আলিগড় রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল শালাভ মাথুর বলেন, “স্থানীয় ধর্মগুরু ভোলে বাবার স্মরণে ওই সৎসঙ্গ সভার আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে ইটাহ ও হাথরস জেলার সীমান্তবর্তী ঘটনাস্থলটিতে মানুষকে জড়ো হওয়ার জন্য অস্থায়ীভাবে একটি অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।”

পদদলিত হয়ে আহত হওয়া এক ব্যক্তি জানান, অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর সবাই জায়গা ছেড়ে যাওয়ার জন্য ছোটাছুটি শুরু করলে এ ঘটনা ঘটে।

ইটাহ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ওই ব্যক্তি বলেন, “ঘটনাস্থলে ভোলে বাবার শিষ্যদের প্রচুর ভিড় ছিল। সেখান থেকে বের হওয়ার কোনও উপায় ছিল না এবং ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে মাটিতে পড়ে গিয়ে পদদলনের শিকার হয়। আমি ভিড় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে সামনে একটি পার্ক করা মোটরসাইকেল পড়ে, যা আমার পথ রুদ্ধ করে। এসময় অনেকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে, অনেকে মারা যায়।”

তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত