কক্সবাজারের চকরিয়ার বদরখালীতে অস্ত্রের মুখে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে পরিবারের হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক ও গণমাধ্যম) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর পূর্বাংশে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওই কিশোরী জানান, রবিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে সে বদরখালী স্টেশনে পৌঁছায়। পরে মহেশখালীর গ্রামের বাড়িতে যেতে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠেন। বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর মাঝামাঝি পৌঁছালে চালক গাড়ীর ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার কথা জানায়।
পরে ওই কিশোরী গাড়ি থেকে নেমে ব্রিজের পূর্ব অংশে স্টেশনের দিকে হেঁটে যাচ্ছিল। এসময় অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক তার পথরোধ করে মুখ চেপে ধরে। এসময় সে চিৎকার করার চেষ্টা করলে আরেক যুবক ছোরার ভয় দেখিয়ে তাকে পাশের প্যারাবনের দিকে নিয়ে যায়। এরপর ওই দুই যুবক কিশোরীর উপর নির্যাতন চালায়। সেখানে আরও দুই যুবকও তাকে নির্যাতন করে। এরপর কিশোরীকে প্যারাবনের আরও ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়ে। সেখানে আরও চার যুবক পরপর তার ওপর নির্যাতন চালালে কিশোরী অবচেতন হয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, এক পর্যায়ে জ্ঞান ফিরলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
রাতেই এসব তথ্য পেয়ে পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, “কিশোরীর দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টার পাশাপাশি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পুলিশ ঘটনার কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ওই কিশোরী পরিবারের হেফাজতে রয়েছে।”
ভুক্তভোগী কিশোরী ও পরিবারের কারও লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ মামলা নথিভূক্ত করবে বলে জানান তিনি।