ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি তাদের ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭ টাকা পাচারের দ্বিগুণ ৪ হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।
বুধবার সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মো. সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, প্রকৌশলী শেখ তৈয়েবুর রহমান ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারহা দিবা ও জামসেদ আরা চৌধুরী।
আসামির তালিকায় আরও আছেন ডেসটিনি গ্রুপের প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর মো. জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল ও আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান।
গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার আসামিদের মধ্যে বর্তমানে কারাগারে আছেন ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমীন, তার স্ত্রী ফারহা দিবা ও গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন।
আর জামিনে আছেন গ্রুপের পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ। অপর ১৫ আসামি পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই গ্রাহকদের ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমীনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার কলাবাগান থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরকার।
সে বছরের ১১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন রফিকুল আমীন।
২০১৪ সালের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত শেষে ১৯ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার।
পরবর্তী তদন্তে আরও সাত জনের নাম আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। এসময় ১৪০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
একই আদালত ২০২২ সালের ১২ মে অর্থপাচারের আরেক মামলায় রফিকুল আমীন, হারুনুর রশিদসহ ৪৬ আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়।
এর মধ্যে রফিকুল আমীনকে ১২ বছর ও হারুনুর রশিদকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।