কক্সবাজারে বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থার (বাইসস) সভা থেকে ১৯ জন ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের কলাতলী সড়কের হোটেল মোটেল জোনের ইউনি রিসোর্টের পঞ্চম তলার বলরুম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
পুলিশ বলছে, গোপন বৈঠক করার সময় আওয়ামী লীগপন্থী ইউপি সদস্যদের আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস), কক্সবাজার জেলার ব্যানারে সেখানে ‘রাষ্ট্র সংস্কার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্থানীয় উন্নয়নে তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছিল ইউনি রিসোর্টে।
উখিয়ার বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত পালংখালীর ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিনের সভাপতিত্বে শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে শুরু হওয়া সভায় জেলার প্রায় শতাধিক ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান অংশগ্রহণ করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, “আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি সদস্যরা ইউনি রিসোর্টে গোপন বৈঠক করছে– এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচলনা করা হয়। প্রশাসন বা কারও কাছ থেকে এই বৈঠকের অনুমতি নেওয়া হয়নি।”
সভায় অনেক ইউপি সদস্য অংশ নেন উল্লেখ করে তিনি জানান, যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আটক হওয়া টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জহির আহমেদ অভিযোগ করেছেন, তাদের আলোচনা সভায় পুলিশ অতর্কিতভাবে ঢুকে পড়ে এবং তাদের আটক করে।
তিনি বলেন, “জেলার ইউপি সদস্যের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বারস অ্যাসোসিয়েশনর আলোচনা সভা ছিল। সেখানে দেশের ক্রান্তিকালে কীভাবে কাজ করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। হঠাৎ অতর্কিতভাবে পুলিশ ও সমন্বয়ক ঢুকে আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আটক করে।”
তাদের এই আলোচনা সভা কোনও ‘গোপন বৈঠক’ ছিল না দাবি করে জহির বলেন, “আমাদের যদি গোপন বৈঠক থাকত তাহলে সড়কের পাশে হোটেলে এতবড় অনুষ্ঠান হতো না। আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।”
পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া মহেশখালী এলাকার ইউপি সদস্য সেলিম বলেন, “শুক্রবার আমাদের মেম্বারস অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা ছিল। সেখানে সব রাজনৈতিক দলের মানুষও ছিল। কিন্তু এভাবে আমাদের ভাইদের আটক করা হয়েছে, তীব্র নিন্দা জানাই।”