একরকম নিশ্চিতই ছিল, অপেক্ষা ছিল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। সেটিও এসে গেল। ফিফা ঘোষণা করল দুই বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের নাম। ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ হবে ৬ দেশে। তবে পরের বিশ্বকাপ ২০৩৪ সালের আসর হবে এক দেশে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে সৌদি আরব।
২০৩০ সালের বিশ্বকাপ হবে ৬ দেশে। মূল আয়োজক তিন দেশ- স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো। তাদের সঙ্গে বিশ্বকাপের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে অতিথি আয়োজকের ভূমিকায় থাকবে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে।
এই তিন দেশের সঙ্গে চিলি মিলে বিশ্বকাপের ১০০ বছর পূর্তিতে মূল আয়োজক হওয়ার বিডিংয়ে অংশ নিয়েছিল। তবে প্রস্তাবনায় স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কোকে এগিয়ে রাখে ফিফা। আর বুধবারের ভোটের মাধ্যমে এই তিন দেশকে দেওয়া হয়েছে ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব।
তবে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েকে হতাশ করেনি ফিফা। ২০৩০ বিশ্বকাপের শুরুর দিকে তিনটি ম্যাচ আয়োজন করবে লাতিন আমেরিকার এই তিনটি দেশ।
সৌদি আরবের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীই ছিল না। ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য শুধু মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিই বিডিংয়ে অংশ নিয়েছিল। ফলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথমবার ফুটবল মহাযজ্ঞ আয়োজনের দায়িত্ব পেল দেশটি। কাতারের পর মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব।
তবে সৌদি আরবের বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়াকে ভালো চোখে দেখছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ ২১টি মানবাধিকার সংস্থা যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের শ্রম অধিকার ও ক্রীড়া বিষয়ক প্রধান স্টিভ ককবার্ন যেমন বলেছেন, “পর্যাপ্ত মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত না করে সৌদি আরবকে ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ দেওয়ার জন্য ফিফার বেপরোয়া সিদ্ধান্ত অনেকের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলবে।”