বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত। তাদের বিরুদ্ধে মোট ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আনা হয়েছে।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ দেয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন, অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক ইসমত আরা বেগম, সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ ও অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র নাথ।
এছাড়াও জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ভবন করপোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. গোলাম আজম, ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক, এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন ও পরিচালক মো. আবু তালহার নামও তালিকায় রয়েছে রয়েছে।
এর আগে গত গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা নিজেদের মধ্যে যোগসাজশ করে মিথ্যা রেকর্ডপত্র তৈরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকে বন্ধক দেওয়া জমিতে কোনও ভবন, কারখানা বা স্থাপনা না থাকা সত্ত্বেও তাতে স্থাপনা দেখিয়ে মূল্যায়ন করে স্থাপনাবিহীন তিন কোটি চার লাখ ৯৬ হাজার টাকার জমিকে ১৬ হাজার ৪৮২ দশমিক ৫০ লাখ টাকা অতিমূল্যায়ন করে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করেন।
এর মাধ্যমে আসামিরা জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।
আসামি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
মামলাটির তদন্ত চলছে জানিয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজের আদালতে করা আবেদনে বলেছেন, “গোপন সূত্রে জানা যায় যে, আসামিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এজাহারনামীয় ২৩ আসামির দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।”
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দেন বিচারক।