Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

টানা বৃষ্টিতে উখিয়ায় পানিবন্দি ৩ হাজার পরিবার

টানা চার দিনের মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিতে উখিয়ার ৩০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
টানা চার দিনের মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিতে উখিয়ার ৩০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, কক্সবাজার

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, কক্সবাজার

টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৩ হাজারের পরিবারের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, টানা চার দিনের মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিতে উখিয়ার ৩০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার মানুষ। বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে, নষ্ট হয়েছে গ্রামীণ সড়ক। কালভার্ট বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি গাছপালা ও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের উপ-সহকারি পরিচালক তোফায়েল আহমদ জানিয়েছেন, সবশেষ ৫১ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় আরও ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।

আরও দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে, তবে পরিমাণ কম বলে জানান তিনি।

টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে উখিয়ার যে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে জালিয়া পালং ইউনিয়নের নম্বরী পাড়া, ঘাটঘর পাড়া, পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, সোনারপাড়া, ডেইলপাড়া, মনখালি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, রুমখা পালং, বড়বিল, পাতাবাড়ি, নলবুনিয়া, খেওয়া ছড়ি, বৌ বাজার, কুলাল পাড়া, মনির মার্কেট, পাগলির বিল, রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং, মাছকারিয়া, লম্বাশিয়া তুতুরবিল, হিজলিয়া, পিনজির কুল, রত্না পালং ইউনিয়নের সাদৃকাটা, পশ্চিম রত্না, বড়ুয়াপাড়া, খোন্দকার পাডা, গয়াল মারা ও পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী, রহমতের বিল, বালুখালী তৈল খোলা ও আঞ্জুমান পাড়া।

পানিতে তলিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
পানিতে তলিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম জানিয়েছেন, সমুদ্র উপকূলীয় ডেইল পাড়া, নম্বরি পাড়া ও ঘাটঘর পাড়ায় কয়েক’শ পরিবার পানিতে আটকা পড়েছে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের উখিয়া সভাপতি মোহাম্মদ নুর মোহাম্মদ শিকদার বলেন, চার দিন ধরে প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মাটির রাস্তাগুলো লণ্ডভণ্ড এবং কালভার্ট বিধ্বস্ত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও পানের বরজ নষ্ট হয়েছে।

সবজি ক্ষেতের পাশাপাশি ভেসে গেছে আমনের বীজতলাও। ভেসেছে মাছের ঘের ও পুকুর।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন। তিনি ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছেন।

ইউএনও বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসরত মানুষকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিতে মাইকিং করা হচ্ছে। এজন্য আশ্রয় কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত