থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগর এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মঙ্গলবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এদিন রাত ৮টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় যানবাহন নিয়ে ঢুকতে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) ও মহাখালী আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।
রাত ৮টা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে মহাখালী এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১ নং রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, ঢাকা গেট, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে না।
তবে এসব এলাকা থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে ক্রসিংগুলো ব্যবহার করা যাবে।
এছাড়া ফিনিক্স ক্রসিং, শুটিং ক্লাব ক্রসিং, শান্তা ক্রসিং, ইউনাইটেড হাসপাতাল গ্যাপ, বটতলা ক্রসিং, বনানী ২৩ নং রোড, জিএমজি ক্রসিং, ঢাকা গেইট, পুরাতন আড়ং ক্রসিং, মানারাত ক্রসিং, নিকেতন ক্রসিং, নতুন বাজার ক্রসিং, পুলিশ প্লাজা ক্রসিং, জাতিসংঘ গোল চত্বর, মসজিদ গ্যাপ, গুদারাঘাট গ্যাপ, মায়াগঞ্জ ক্রসিং, বাড্ডা লিংক রোড, বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়, কালাচাঁদপুর গ্যাপ ও বনানী ১১নং রোড-এই ২১টি পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগত কোনও ব্যক্তি বা যানবাহন ঢুকতে পারবে না। কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার লাগানো যানবাহন পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্য ব্যক্তি বা যানবাহন কেবল পুরনো হাইকোর্ট-দোয়েল চত্বর-শহীদ মিনার-জগন্নাথ হলের দক্ষিণ গেট-পলাশী মোড় ব্যবহার করতে পারবে। এসব এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অন্যান্য সব ক্রসিং বন্ধ থাকবে।
এছাড়া মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে শাহবাগ, নীলক্ষেত ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, বকশী বাজার ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং ও চাঁনখারপুল/শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং দিয়ে কোনও ধরনের যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।
আর কী করা যাবে না
থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরে যান চলাচলে কড়াকড়ির পাশাপাশি আরও বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে ডিএমপির পক্ষ থেকে।
সেগুলো হচ্ছে-
১. অনুমতি ছাড়া উন্মুক্ত স্থানে কোনও ধরনের অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, নাচ, গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যালি ও শোভাযাত্রা করা যাবে না।
২. কোনও ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো যাবে না।
৩. মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত সব বার বন্ধ থাকবে।
৪. আবাসিক হোটেলগুলো সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে।
৫. মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে কোনও লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।
৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় ফিরবেন। রাত ৮টার পর এলাকায় ঢুকতে হলে তাদের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
৭. গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার বাসিন্দাদের মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় ফিরতে হবে।
৮. গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে এসব এলাকার বাসিন্দারা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) ও মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
৯. হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর কোনও সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং কোনও যানবাহন থামিয়ে বা পার্কিং করে কেউ অবস্থান করতে পারবেন না।
১০. গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যারা বসবাস করেন না, তাদের এসব এলাকায় যেতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
১১. উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো বা গণউপদ্রব সৃষ্টি করে এমন কোনও গান চালানো যাবে না।