বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সীতাংশু কুমার সুর, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর ৩৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, এই পরিবারটির সদস্যদের ৩৯ টি ব্যাংক হিসাবে তিন কোটি ৯৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা রয়েছে। এগুলোর পাশাপাশি তাদের দুটি ফ্ল্যাট এবং আট শতাংশ জমিও জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সেগুনবাগিচায় এসকে সুরের ১৫০০ বর্গফুটের একটি ও ধানমণ্ডিতে সুপর্ণা সুরের ৪৪০০ বর্গফুটের আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
দুদকের লিখিত আবেদনে বলা হয়, এস কে সুরের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি, অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর, রূপান্তরসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সম্পৃক্ত ধারার অপরাধের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। তার ৪৪ লাখ ১৭ হাজার ৭০০ টাকার স্থাবর ও ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার অস্থাবর, ব্যাংকে স্থিতি ১৫ লাখ ২৩ হাজার ১৪৮ টাকা, স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরীর ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার স্থাবর, সুপর্ণা সুর চৌধুরীর ব্যাংকে স্থিতি ৮৪ লাখ ২৯ হাজার ৮৭ টাকা এবং কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকার স্থাবর, কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর ব্যাংকে স্থিতি ১ কোটি ১৪ লাখ ১২ হাজার ৮৬২ টাকা অর্থাৎ মোট ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৭ টাকার সম্পদ দখলে রেখেছেন বা মালিকানা অর্জন করেছেন।
যা সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারি চাকরির সুবাদে দুর্নীতির মাধ্যমে অসাধু উপায়ে নিজ, স্ত্রী ও কন্যার নামে অর্জন করেছেন এবং তাদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, বলছে দুদক। নিয়মিত মামলা দায়েরের আগেই তারা এসব সম্পত্তি স্থানান্তর করতে পারেন বলে প্রতীয়মান হওয়ায় অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে সম্পত্তি জব্দ ও অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করেছে দুদক।
গত ১৪ জানুয়ারি দুদকের একটি দল ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে এস কে সুরকে গ্রেপ্তার করে। ওইদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।