Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

১১ মাসেই ৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ

dollar
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

বিদেশি ঋণের পুঞ্জীভূত পাওনা পরিশোধে ৩০০ কোটি ডলারের মাইলফলক চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। এটি ইতিহাসে প্রথমবার ঘটল। 

এসময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ৩০৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার। এর আগে কখনোই একবছরেও এতো বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়নি।

চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের এই হার গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের মে পর্যন্ত পরিশোধ করতে হয়েছিল ২৪৬ কোটি ৭১ লাখ ডলার। গত পুরো অর্থবছরেই পরিশোধ করতে হয়েছিল ২৬৭ কোটি ডলার।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে দেশের স্বাধীনতার পর থেকে ৪০ বছরে যে পরিমাণে বৈদেশিক ঋণ নিয়েছিল মাত্র ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।

২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে সরকার বৈদেশিক ঋণ নেয় ৬ হাজার ৪৩৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দশ বছরে তার আগের ৪০ বছরের তুলনায় ২৩৮ শতাংশ বেশি বিদেশি ঋণ নেয় সরকার।

এই বিপুল বিদেশি ঋণের পরিশোধের চাপ বাড়ায় মূলত বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ইআরডির সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা।

তিনি জানান, চলতি অর্থবছরে থেকে জ্বালানি খাতের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) ও ডিজিটাল কানেক্টিভিটি স্থাপনে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণসহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ায় আসল পরিশোধ শুরু হয়েছে।

এখন থেকে দেশে বাস্তবায়নাধীন মেগাপ্রকল্পগুলোর ঋণের রেয়াতকাল শেষ হওয়ায় বিদেশি ঋণ পরিশোধের হার ক্রমান্বয়ে আরও বাড়বে।

ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের ১১ মাস পর্যন্ত সরকার বিদেশি দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে প্রতিশ্রুত ঋণ থেকে ছাড় করতে পেরেছে ৭০২ কোটি ডলার। এরমধ্যে ৬৬১ কোটি ৫৩ লাখ ডলার ঋণ হিসেবে এবং বাকি ৪০ কোটি ৫১ লাখ ডলার অনুদান হিসেবে ছাড় হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের ১১ মাসের বৈদেশিক ঋণের এই ছাড় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র ৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার বেশি। গত অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত বিদেশি ঋণের ছাড় হয়েছিল ৬৯৮ কোটি ডলার।

এই সময়ে দাতা সংস্থা ও দাতা দেশ থেকে নতুন করে প্রতিশ্রুতি আদায় বেড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। মে পর্যন্ত মোট নতুন প্রতিশ্রুতি আদায় হয়েছে ৭৯২ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। এই প্রতিশ্রুতি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৯৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার বেশি।

চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে জাপান। এই দেশ থেকে ছাড় হয়েছে ১৮০ কোটি ডলার। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ছাড় করেছে ১৫৯ কোটি ডলার এবং বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ১৪০ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত