Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়কে প্রাণ গেল শিশুসহ ৪ জনের

ss-accident-111224
[publishpress_authors_box]

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাক, মাইক্রোবাস ও পিকআপের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের আমতলী-বারঘরিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এতে ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হয়। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে একজন ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।

এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। তাদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি তিনজন ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন- আবু হানিফ (৪০), রুনা আক্তার (৩৫) ও সাফিয়া বেগম (৬০)।

নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বুল্লা ইউনিয়ের মানিক মিয়ার মেয়ে রাইছা (১১ মাস), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার দাতমণ্ডল এলাকার লুতু মিয়ার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা (৭৫), হরিপুর গ্রামের লোকমান মিয়ার ছেলে (মাইক্রোবাস চালক) পাভেল মিয়া (৩০) ও বিজয়নগর উপজলার বুধন্তি গ্রামের রিয়াদ মিয়া (৪০)।

সিলেট অঞ্চলের খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারগুব তৌহিদ সকাল সন্ধ্যাকে জানান, বুধবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বারঘরিয়া এলাকায় ড্রামভর্তি একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীতমুখী একটি মাইক্রোবাস (হায়েস গাড়ি) ও সিলেটগামী একটি পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।

তিনি জানান, দুর্ঘটনার সময় সড়কে প্রচণ্ড কুয়াশা ছিল। দুর্ঘটনাকবলিত তিনটি গাড়িই দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এতে হায়েস গাড়িতে থাকা এক শিশু ও বৃদ্ধা ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়।

হাইওয়ে পুলিশ ও ওসমানী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ফজিলাতুন্নেছার আত্মীয় সিলেটের মাধবপুর উপজেলার রামপুর গ্রামের রুনা আক্তার, সাফিয়া বেগম ও উনু মোল্লা সৌদি আরবে ওমরাহ পালন শেষে মঙ্গলবার রাতে দেশে ফিরেন।

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলে রাতেই মাইক্রোবাসে তাদের নিয়ে বাড়ি রওনা হন ফজিলাতুন্নেছা ও কয়েকজন স্বজন। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাদের গাড়ি বুধন্তি ইউনিয়নের আমতলী-বারঘরিয়া এলাকায় এলে বালুবাহী একটি ট্রাক ও একটি পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

ঘটনাস্থলেই রাইছা ও রিয়াদ নামে দুজন মারা যায়। বাকিদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ফজিলাতুন্নেছা মারা যান। বেলা আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাইক্রোবাস চালক পাভেল।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) পলাশ চন্দ্র দাস সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত