ঢাকার জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বর এলাকা থেকে গতকাল রবিবার গ্রেপ্তার যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৪২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার জ্যেষ্ঠ মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্যাহর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ছাত্রলীগ-যুবলীগের এই নেতাকর্মীরা হলেন- মাহবুব হাসান, অহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম মজুমদার, মহিউদ্দিন হোসেন বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, শাহ মো. দোজাহান, জাকির হোসেন, জিয়া উদ্দিন, শহিদুল ইমলাম, ফারুক হোসেন, রফিকুল ইসলাম সাগর হাওলাদার, মোশারফ হোসেন, আনসার হাওলাদার, কামরুল হাসান, রেহানা বেগম, লাকি বেগম, ওয়াসিম, মাছুম, আবু ইউসূফ, আলাউদ্দিন, আলী আহম্মেদ, এম এ মারুফ, রুবেল, কবির হোসেন, উম্মে হাবিবা, মোহনা আক্তার, মুন, গীতা রাণী বিশ্বাস, পারভীন সুলতানা, ইসমাইল হোসেন রাজ, রাফসান, আবদুস সালাম আকন, রাশেদুল সিদ্দিক, কহিনুর, পুষ্প, নুর উদ্দিন আফসার, রাজু আহম্মেদ ওরফে মিরান, সেলিমুজ্জামান রাজা, কুদ্দুস মকদুম, শাহজাহান মৃধা, ইদ্রিস আহম্মেদ ও জনি হাসান।
গতকাল রবিবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার জিরো পয়েন্ট নূর হোসেন চত্বর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ।
সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক রাসেল মিয়া তাদেরকে আদালতে হাজির করে সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলায় বলা হয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যরা ও তাদের অর্থদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতারা দেশে অস্থিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য কয়েকদিন ধরে ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্দেশনা সম্বলিত অডিও এবং ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল করে জিরো পয়েন্ট ও আশপাশ এলাকায় অবস্থান নিয়ে নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রচারণা চালিয়ে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় সচিবালয়ের বিপরীত পাশে পাকা রাস্তার উপর এই আসামিরা অজ্ঞাতনামা ৩০০/৪০০ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কতিপয় সদস্য এবং তাদের অর্থদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতারা সরকার ও রাষ্ট্রের জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্র এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়। এই সময় ছাত্রলীগের ব্যানারে ছাত্রলীগের সঙ্গে এ আসামিরা দেশবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।
অনেকটা হঠাৎ করেই শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে নূর হোসেন দিবস ঘিরে রবিবার (১০ নভেম্বর) ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দেওয়া হয়। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত দলটিকে এই ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।