Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

৪৩তম বিসিএস : ফৌজদারি অপরাধী না হলে চাকরিতে বাধা নেই

ss-psc-building-agargaon-09012025
[publishpress_authors_box]

৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়াদের বিরুদ্ধে যদি কোনও ফৌজদারি মামলা না থাকে তাহলে তারা চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সভা শেষে তিনি এই তথ্য জানান। সচিব বলেন, “ফৌজদারি অপরাধে জড়িত ছাড়া বাকিরা সবাই নিয়োগ পাবেন।”

এর আগে ৪৩তম বিসিসের গেজেটে বাদ পড়াদের আবেদন নিয়ে সচিবালয়ে একটি সভা হয়। সেই সভা থেকেই আসে এই সিদ্ধান্ত।

৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ৩০ ডিসেম্বর নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এতে বিভিন্ন ক্যাডারের ১৬৮ প্রার্থী বাদ পড়েন। ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। ফলে সব মিলিয়ে এই বিসিএস থেকে বাদ পড়েন মোট ২৬৭ জন।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে গণমাধ্যমেও আলোচনা শুরু হয়। পরিবারের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে অনেক প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগও ওঠে। বাদ পড়া প্রার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্ট দেন, যা দ্রুতই ছড়িয়ে যায়।

সম্প্রতি এসব প্রার্থীর বাদ পড়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক সাময়িকভাবে ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীকে মনোনীত করে সুপারিশ করা হয়।

বিসিএস নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিধি অনুসারে, পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখা এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রাক-চরিত্র যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ করা ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং এজেন্সি রিপোর্ট বিবেচনায় সাময়িকভাবে ৫৯ জনসহ মোট ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ২ হাজার ৬৪ প্রার্থীর অনুকূলে গত বছরের ১৫ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির পর বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এ নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী নির্ধারণ, সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য ৪৩তম বিসিএসের সুপারিশ করা ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মাধ্যমে আবারও প্রাক-চরিত্র অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এনএসআই ও ডিজিএফআই থেকে ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর উপযুক্ততা/অনুপযুক্ততা বিষয়ে প্রতিবেদন পাওয়া যায়।

সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২২৭ প্রার্থীর প্রাক্-চরিত্র বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য (আপত্তি/অসুপারিশকৃত) পাওয়া যায়। ২২৭ প্রার্থীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয় এবং তাদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জনকে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয়।

এ অবস্থায় সুপারিশ করা ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থীর অনুকূলে ৩০ ডিসেম্বর আবার নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যে কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হবে। পুনর্বিবেচনার আবেদনের সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত বলেও জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত