Beta
বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

খেজুরের গুড়সহ ৫ পণ্যের জিআই মঞ্জুর

তৈরি হচ্ছে খেজুরের গুড়।
তৈরি হচ্ছে খেজুরের গুড়।
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস-জিআই) পণ্যের তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে যশোরের খেজুরের গুড়, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা ও রাজশাহীর মিষ্টিপান।

বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক (ডিপিডিটি) এই চারটি পণ্যের জিআই আবেদন সঠিক হওয়ায় তা মঞ্জুর করে।

এর এক দিন আগে মঙ্গলবার টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই নিবন্ধনের আবেদন যাচাই-বাছাই করে মঞ্জুর করে ডিপিডিটি। ওই দিন টাঙ্গাইল শাড়ি এবং পরের দিন বুধবার অন্য চারটি পণ্যের জিআই মঞ্জুরের বিষয়টি গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠায় জিআই নিবন্ধন দেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই সংস্থাটি।

এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে কোনও অভিযোগ না এলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জিআই নিবন্ধিত পণ্যের তালিকায় এই ৫টি পণ্যের নামও যুক্ত হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিপিডিটির পরিচালক আলেয়া খাতুন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমরা এই পণ্যগুলোর জিআই প্রাপ্তির বিষয়টি বিজি প্রেসে পাঠিয়েছি। এটা প্রকাশিত হওয়ার পর দুই মাস সময় থাকবে এ বিষয়ে কোনও আপত্তি থাকলে তা বিবেচনা করার জন্য।”

ভারত সম্প্রতি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ও সুন্দরবনের মধুর জিআই নিজেদের দাবি করায় দেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলোর স্বত্ত্ব সংরক্ষণের বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা, অনেকেই তাদের মতামত তুলে ধরছেন।

এর পরই ডিপিডিটির পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসককে জিআই’র আবেদন পাঠাতে বলা হয়। মঙ্গলবার সেই আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই নিবন্ধন মঞ্জুর করে ডিপিডিটি।

বাংলাদেশের জিআই নিবন্ধন পাওয়া পণ্যের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২১টি। তবে নতুন যে ৫টি পণ্যের জিআই মঞ্জুর করা হয়েছে, তা চূড়ান্ত নিবন্ধন পেলে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ২৬।  

এর আগেও ভারত ২০১২ সালের দিকে জামদানি শাড়ি ও ইলিশকেও জিআই পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিল। যদিও বাংলাদেশের এসব পণ্য প্রসিদ্ধ, কিন্তু তখন জিআই পণ্য নিবন্ধনের জন্য এদেশে কোনও আইন ছিল না।  

২০১৩ সালে আইন হওয়ার পর প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে নথিভুক্ত হয় জামদানি শাড়ি। তবে ভারতও জামদানিকে জিআই পণ্য হিসেবে নথিভুক্ত করে, তবে তা ‘উপাধা জামদানি’ নামে।

এরপর একে একে জিআই স্বীকৃতি পায় বাংলাদেশের ইলিশ, ক্ষীরসাপাতি আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, কালিজিরা, বাগদা চিংড়ি, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, বগুড়ার দই, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, চাপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, শেরপুরের তুলশীমালা ধান ও শীতলপাটি।  

সম্প্রতি বাংলাদেশে জিআই স্বীকৃতি পায় টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা ও ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল।

এছাড়া আরও ১৪টি পণ্যের আবেদন জমা পড়েছিল ডিপিডিটির কাছে। এর মধ্যে থেকে ৪টি পণ্যকে বুধবার জিআই পাওয়ার যোগ্য বলে স্বীকৃতি মঞ্জুর করেছে ডিপিডিটি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত