Beta
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

৬২ লাখ ডলার দামের ‘কলা’টি খেয়ে ফেলা হলো

artwork-comedians-banana-eaten-by-chinesse-cryto-boss-san
[publishpress_authors_box]

নিলামে কেনা ৬২ লাখ ডলারের শিল্পকর্ম ‘কমেডিয়ান’ এর কলাটি শেষ পর্যন্ত পূর্বঘোষণা অনুযায়ী খেয়ে ফেলেছেন চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান ক্রিপ্টো উদ্যোক্তা জাস্টিন সান।

চলতি নভেম্বরের ২০ তারিখে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন শহরে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সোথবির নিলামে ইতালিয় ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট মরিজিও ক্যাত্তেলানের ২০১৯ সালের সিরিজ শিল্পকর্ম ‘কমেডিয়ান’ কিনে নেন সান

দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি হলুদ রঙা কলার নিলাম মূল্য নিয়ে তখন বেশ সোরগোল হয়। আসলে
এই শিল্প কর্ম কেবল একটি ধারণা মাত্র। মরিজিও ক্যাত্তেলান ২০১৯ সালে আর্ট বাসেল মিয়ামি বিচের জন্য এটি তৈরি করেছিলেন। তখন এটি প্রায় দেড় লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। ক্যাত্তেলান তার ‘কমেডিয়ান’ নামে পরিচিত এ শিল্পকর্মের তিনটি সংস্করণ করেছিলেন।

এটি আগেও দুই বার শিল্পকর্মের কলাটি খাওয়া হয়েছে। প্রথমে ২০১৯ সালে একজন পারফরম্যান্স শিল্পী এবং দ্বিতীয়বার ২০২৩ সালে একজন দক্ষিণ কোরিয়ান ছাত্র এটি খান। কিন্তু ৬২ লাখ ডলার তো দূরের কথা তাদের কেউই এর জন্য কোনও অর্থ দেননি।

শুক্রবার হংকংয়ের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডজন খানেক সাংবাদিক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সামনে কলাটি খেয়ে ফেলা হয়। খাওয়ার সময় ‘আইকনিক’ শিল্পকর্ম এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে এর ধারণাগত মিল নিয়ে জাস্টিন সান একটি বক্তব্যও দেন।

প্রথম কামড়ের পর তিনি বলেন, “এটি অন্য কলাগুলোর চেয়ে অনেক ভালো, এটি আসলে খুব ভালো।”

সান জানান, যখন নিলামে তিনি জেতেন তখন আসলে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তিনি বুঝতে পারেন, এটি বড় কিছু হতে পারে। এরপর, তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে কলাটি খাওয়া হবে।

“প্রেস কনফারেন্সে এটি খাওয়া শিল্পকর্মের ইতিহাসের অংশ হতে পারে,” বলেন তিনি।

২০১৯ সালে মিয়ামি বিচের আর্ট বাসেল শোতে এই কলাটি প্রদর্শিত হলে এটি বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল এবং প্রশ্ন উঠেছিল, এটি আসলেই কি শিল্প!

সান এই শিল্পকর্মকে এনএফটি (নন-ফাঞ্জিবল টোকেন) এবং ‘ডিসেন্ট্রালাইজড ব্লকচেইন’ প্রযুক্তির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “এনএফটি’র মতো আর্ট-ওয়ার্কগুলোও মূলত বাস্তব জীবনের চেয়ে ডিজিটাল ফর্মেই বেশি থাকে। ‘কমেডিয়ান’ও ঠিক তেমনই।”

‘ক্রিপ্টো বস’ হিসেবে পরিচিত সান সম্ভবত এই কথার দ্বারা মানুষের মনোজগতে আর্টওয়ার্কের অবস্থান বোঝাতে চেয়েছেন।  

সম্প্রতি ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ট্রাম্প-সমর্থিত একটি ক্রিপ্টো প্রকল্পের পরামর্শক হয়েছেন সান। তবে তিনি দাবি করেন, এই বিনিয়োগের রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্য নেই- “আমরা রাজনীতি বিমুখ”।

সান জানান, শিল্পকর্মটি কেনার পরে কিছু সহজ প্রশ্ন করেছিলেন, যেমন কলাটি কি পচে যাবে এবং শিল্পকর্মের মূল্য কীভাবে নির্ধারণ করবেন ইত্যাদি।

কেনার সময় এই শিল্পকর্মের মালিকদের একটি প্রত্যয়নপত্র পেয়েছেন সান। কলাটি পচে গেলে তা বদলানোর জন্য নির্দেশিকাও তাকে দেওয়া হয়েছে। সান মনে করেন, এর দাম ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে, ঠিক যেমন বিটকয়েনের দাম বাড়ে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত