কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে ‘মালয়েশিয়া পাচারের’ সময় রোহিঙ্গাসহ ৬৬ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় পাঁচজন দালালকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃত দালালদের কাছ থেকে ৪টি রাইফেলের গুলি, ১টি রামদা ও ১টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মধ্যম কচ্ছপিয়া পাহাড়ী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ৬১ জন রোহিঙ্গা এবং ৫ জন বাংলাদেশি। এদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ১১ জন নারী ও ৩৭ জন শিশু রয়েছে।
পুলিশের হাতে আটক দালালরা হলো, টেকনাফ পৌরসভার শিলবনিয়া পাড়ার মো. রাশেদ (২৫), বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার সালেহ আহাম্মদ (৩৫) ও তার ভাই নুরুল কবির (২৭), একই এলাকার সৈয়দ আলম (২৪) এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া এলাকার কামরুল ইসলাম ওরফে মো. শিপন (৩২)।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, রবিবার ভোরে মধ্যম কচ্ছপিয়া পাহাড়ী এলাকায় আব্দুল আমিন নামে একজনের বসতঘরে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য কয়েকজনকে একত্রিত করার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে বসতঘরটি ঘিরে ফেললে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০/১৫ জন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৫ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে ৪টি রাইফেলের গুলি, ১টি রামদা ও ১টি কিরিচ পাওয়া যায়।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, “পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য একত্রিত করা ৬৬ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা ৬১ রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। এছাড়া তাদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছে।”
আটক দালালদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ওসি।