কক্সবাজারের চকরিয়ায় রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকা এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত চকরিয়া ও মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভুঁইয়া।
গ্রেপ্তার সাতজন হলেন– চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কলেজ পাড়ার মোহাম্মদ ইসহাকের ছেলে মোহাম্মদ কাজল (২৩) ও একই ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার প্রয়াত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮), ঢেমুশিয়াপাড়ার আব্দুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭), বদরখালীর বাজারপাড়ার জিয়বুল করিমের ছেলে তাজুল ইসলাম (১৮), নুরুল আফসারের ছেলে সজীব (২৫), টুটিয়াপাড়া এলাকার বশির আহমদের ছেলে ছোটন (২৫), দাতিনাখালী আবু ছাহের ছেলে অমিত হাসান (২৫)।
গত রবিবার রাতে মহেশখালীর গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর পূর্বাংশে গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকা এক কিশোরীকে (১৫) অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী প্যারাবনে নিয়ে আট যুবক মিলে পাশবিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে সোমবার বদরখালী স্টেশন, চকরিয়া উপজেলা সদর ও কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ওসি মনজুর কাদের বলেন, ঘটনার পর থেকে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মঙ্গলবার বিকালে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী থেকে দুইজনকে এবং মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সোমবার মধ্যরাতে বদরখালীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগী কিশোরী ও পরিবারের কেউ এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি জানিয়ে ওসি বলেন, “এখনও এজাহার দায়ের হয়নি। গ্রেপ্তারদের সন্ধিগ্ধ আসামি দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর শনাক্তের ভিত্তিতে তাদের আসামি করা হবে।”
মনজুর কাদের জানান, ভুক্তভোগী কিশোরী এখন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। সে এখনও শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ নয়।