ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসন ও শৃঙ্খলা শাখা থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে এই তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে একজন সদস্য-সচিব এবং পাঁচ জন্য সদস্য রাখা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়) এই তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের ষষ্ঠ তলায় বুধবার রাত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় ৬ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন নেভাতে গিয়ে সচিবালয়ের সামনের সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারান সোয়ানুর জামান নয়ন (২৪) নামে এক ফায়ার ফাইটার।
আগুন নেভার পর বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয় পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি হচ্ছে, যার সদস্য সংখ্যা ৫ জন থেকে ১১ জন পর্যন্ত হতে পারে।
এরপর দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা অফিস আদেশে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদ্ঘাটন; অগ্নি দুর্ঘটনার পেছনে কারও ব্যক্তিগত বা পেশাগত দায়দায়িত্ব আছে কি না তা উদ্ঘাটন; এবং এ জাতীয় দুর্ঘটনা প্রতিরোধকল্পে সুপারিশ প্রেরণ।
কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস আদেশে।