বাংলাদেশে যত আয়নাঘর বা বন্দিশালা রয়েছে সবগুলো খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “এটা ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছিল।”
বুধবার দুপুরে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, “গুম কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী এবং নিরাপত্তা বাহিনী যে তদন্ত করছে তার ভিত্তিতে ধারণা করা যায় যে সারাদেশে ৭০০-৮০০ আয়নাঘর রয়েছে এবং এ ধরনের ঘর আরও বের হচ্ছে। তাতে বোঝা যাচ্ছে যে এটি শুধু ঢাকায় মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছিল।
“হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে স্পষ্ট লেখা আছে, গুম ও খুনের সঙ্গে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত ছিল, তার নির্দেশেই এগুলো হয়েছে।”
ঢাকায় র্যাবের দুটি এবং ডিজিএফআইয়ের একটি আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, “সেখানে বন্দিদের কীভাবে রাখা হতো, নির্যাতন করা হতো, কীভাবে সময় কাটিয়েছেন, কেউ কেউ সেখানে ৭-৮ বছর কাটিয়েছেন, তার বর্ণনা আসলে প্রকাশ করার মতো না। এই পরিদর্শনে সেগুলো প্রকাশ পায়। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি স্পটে গিয়েছেন। সেখানে যারা বন্দি ছিলেন তারা তাদের সঙ্গে হওয়া ঘটনাগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে বর্ণনা করেছেন।”
আয়নাঘরের আলামত নষ্ট করা হয়েছে কিনা সেটা গুম কমিশন দেখছে বলে জানান প্রেস সচিব। এছাড়া মামলাগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা দেখছেন বলেও জানান তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, “প্রত্যেকটি আয়নাঘর এভিডেন্স হিসেবে সিলগালা করা থাকবে। কারণ, আমাদের লিগ্যাল প্রসেসে এগুলো সময় লাগবে। গুম কমিশন বলবে আলামত আদৌ নষ্ট হয়েছে কিনা। কিছু কিছু জায়গায় দেখেছি যে প্লাস্টার করা হয়েছে। কিছু জায়গায় রুম ছোট ছিল, দেয়াল ভেঙে বড় দেখানো হয়েছে। এসব বিষয় গুম কমিশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দেখবে।”
বিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি : পিআইডি