Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

হাছান মাহমুদের পরিবারের ৭৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায়  মঙ্গলবার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মঙ্গলবার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
[publishpress_authors_box]

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তার পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৭৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এসব হিসাবে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকা রয়েছে।

অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে হাছান মাহমুদের নামে আটটি, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমার ১৪ টি, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের ছয়টি, হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রীর যৌথ অ্যাকাউন্ট তিনটি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের ৩৪টি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড হোল্ডিংস ছয়টি, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেড তিনটি, সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের দুটি ও বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জেএএস লিমিটেডের একটি ব্যাংক হিসাব হয়েছে।

এদিন দুদকের উপপরিচালক কমলেশ মন্ডল এসব হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নূরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস লিমিটেড, একাডেমি অফ মেরিন এডুকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জে.এ.এস. লিমিটেড, এম/এস বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেড এবং সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের নামে ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৭৫৩ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৯ টাকা লেনদেন হয়েছে। হাছান মাহমুদ প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এসব লেনদেন হয়েছে। সেখানে মানিলন্ডারিং উপাদান থাকার সম্ভবনা অনেক বেশি।

এছাড়া বর্তমানে হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকা জমা রয়েছে। দুদক অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে তারা ব্যাংকে থাকা টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত এসব সম্পদের বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নিলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না, তাতে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই এসব সম্পদ উত্তোলন, স্থানান্তর বা মালিকানা বদল রোধে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে দেশে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি হাছান মাহমুদকে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত