যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রোকেয়া জামান ও কাফরুল থানার আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক কাউন্সিলর জামাল মোস্তফার তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়াও
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তিন মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রীসহ মোট ৯ জনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তারা হলেন– সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজীবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা জামাল ও রোকেয়া জামান এবং কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমান।
বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে ঢাকার তিনটি থানায় দায়ের করা পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেয়।
৯ জনের মধ্যে আনিসুল হক, জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাদেক খানকে ২০১৫ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার দায়ের হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০১৫ সালে রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন এলাকায় খালেদা জিয়ার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায়ও আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এই মামলায় হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অন্যদের মধ্যে নজিবুর রহমানকে বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলায়, আওয়ামী লীগ নেতা জামাল মোস্তফা ও রোকেয়া জামানকে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় এবং কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমানকে রমজান মিয়া জীবন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রোকেয়া-মোস্তফা রিমান্ডে
গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে যুবদল নেতা শামীম হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রোকেয়া জামান এবং কাফরুল থানার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর জামাল মোস্তফার তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর ফেরদৌস জামান।
শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদের আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকা হয়। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন।