Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

৩ উইকেট হারানোর পর আর সেমির চেষ্টাই করেনি বাংলাদেশ!

বাংলাদেশ
Picture of ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কি বলে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত! সুপার এইটে টানা দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ার পরও সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ হাতের সামনে। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে এই সুযোগ দুহাতে লুফে নেয়নি বাংলাদেশ। অর্ধেক পথে এসেই হাল ছেড়ে দিয়েছে।

শান্ত ম্যাচ শেষে দুবার একই কথা বলেছেন। প্রথমবার পুরস্কার বিতরণীতে আর দ্বিতীয়বার সংবাদ সম্মেলনে। শান্তর কথা হলো ১২.১ ওভার বা ১৩ ওভারের মধ্যে ১১৬ রান তাড়া করলে জয়ের যে সমীকরণ তা শুরুতে মেলানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ৩ উইকেট পড়ার পর ওই লক্ষ্যের পেছনে আর ছোটেনি বাংলাদেশ। একই ভাবে ইনিংসের ৬ ওভার শেষে শুধু ম্যাচ জয়ের ভাবনাই ছিল শান্তদের।

শান্ত স্পষ্ট করেই নিজেদের পরিকল্পনার ব্যাপার বলেছেন এভাবে, “আমাদের লক্ষ্য ছিল ওই টার্গেটের (১৩ ওভারে জয়) জন্য প্রথম ৬ ওভার চেষ্টা করবো। শুরুতে উইকেট না পড়লে সেমির সুযোগ নেব। যখন তিন উইকেট পড়ে যায় তখন আমাদের চিন্তা ছিল কীভাবে জিততে পারি। কিন্তু আমার মনে হয় ব্যাটাররা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ওইখানেই আমরা হেরে গিয়েছি।”

আধুনিক যুগে ক্রিকেট খেলা একটি দলের এই রক্ষণাত্মক চিন্তার কারণটা অবশ্য ভেঙে বলেননি শান্ত। তবে দেশে ফেরার পর সংবাদ সম্মেলনে অবশ্যই এর কারণ জানাতে হবে অধিনায়ক বা কোচকে। অথচ বিশ্বের আর যে কোন দল হলেও সেমিফাইনাল খেলার চেষ্টা করতো। দলের সেরা ফর্মে থাকার ব্যাটারদের ওপরের দিকে খেলিয়ে সুযোগটা নিত।

৬.৩ ওভারের দিকেই ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১২০-৩০ রান করতেও ২০ ওভারের মতো খেলতে হয়েছে নাজমুল শান্তদের। বাকি ৬ উইকেটে পরের ৬ ওভারে সেমিফাইনালে পা রাখার চেষ্টা করতে পারতো বাংলাদেশ? বিশ্বাস করা সবার জন্যই কঠিন। তাই প্রশ্ন হলো বাংলাদেশ ব্যাটারদের সত্যিই কি ১৩ ওভারের মধ্যে ১১৬ রান করার সামর্থ্য ছিল!

বারবার ব্যর্থ ব্যাটিং লাইনের ওপর সেই বিশ্বাসটা রাখা যায় না। কিন্তু ২০ ওভার খেলে ১১৬ রান তো করতে পারতেন। নাজমুল শান্তরা তাও পারেননি। কারণ হিসেবে ব্যাটিং ব্যর্থতার পুরোনো বুলিই আওড়িয়েছেন অধিনায়ক, “এই হার অনেক হতাশার ও কষ্টেরও। এই ম্যাচ নিয়ে সবার পরিকল্পনা ছিল জয়। সেমির সুযোগ হলে তা কাজে লাগানোর চিন্তা ছিল। কিন্তু আমরা কাজে লাগাতে পারিনি, বিশেষ করে ব্যাটিং গ্রুপ খুবই হতাশ করেছে। আমরা ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচেও যদি একটু বেশি রান করতাম তাহলে আজ চিত্রটা একটু অন্যরকম হতো।”

পরিশেষে নিজেদের এই ব্যর্থতার জন্য দেশের সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন শান্ত, “এই ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারের ভুলের কারণ বাঁহাতি-ডানহাতির কম্বিনেশন করতে গিয়ে একটু সমস্যা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের সমর্থকদের হতাশ করেছি। ব্যাটিং গ্রুপ হয়ে আমরা বাজে করেছি। আমি ব্যাটিং গ্রুপের পক্ষ থেকে দুঃখিত ও ক্ষমা চাচ্ছি। দেশের মানুষকে কষ্ট দিয়েছি কিন্তু আমাদের চেষ্টার কমতি ছিল না।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত