Beta
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

মাদকের মামলায় জেলে গিয়ে সখ্য, বেরিয়ে অস্ত্র চোরাচালানে

কক্সবাজারের আলাদা স্থান থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ এদের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
কক্সবাজারের আলাদা স্থান থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ এদের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার কাজী জাফর ছাদেক রাজু (৪০) ও সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের ধাউনখালি এলাকার হুমায়ূন কবির (২৪)। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় দুজনেই ছিলেন কারাগারে। সেখানেই পরিচয় হয় আরেক আসামি ফটিকছড়ির জাবেদের সঙ্গে।

কারাগারের সেই পরিচয় গড়ায় সখ্যতায়। তারপর কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনজনে মিলে জড়িয়ে পড়েন অস্ত্র চোরাচালানে। খাগড়াছড়ির একটি চক্রের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতে শুরু করেন তারা।

অস্ত্র ও গুলিসহ রাজু ও হুমায়ূনকে কক্সবাজারের আলাদা স্থান থেকে গ্রেপ্তারের পর ব্রিফিংয়ে এমন তথ্যই জানিয়েছে র‌্যাব। সেখানে বলা হয়, জাবেদসহ চক্রটির অন্য সদস্যদের আটক করা গেলে খাগড়াছড়ির অস্ত্র চক্রটি শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতের বিভিন্ন সময় কক্সবাজারের ধাউনখালি এবং কলাতলীর মেরিন ইকো রিসোর্ট থেকে রাজু ও হুমায়ুনকে আটক করে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল, একটি থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল এবং গুলি উদ্ধার করা হয়।

মামলার পর তাদের কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখানে রাজু জানিয়েছে, তার কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো মূলত খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বাংলাদেশে চোরাচালান করা হয়। খাগড়াছড়ির স্থানীয় একটি চক্র এই অবৈধ অস্ত্র  চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

চক্রটি তাদের বিভিন্ন এজেন্টদের মাধ্যমে গোটা দেশে এসব সরবরাহ করে। একটি বিদেশি পিস্তল ৮০-৯০ হাজার টাকায় এজেন্টদের কাছে বিক্রি করে। পরবর্তীতে অস্ত্রগুলো বিভিন্ন হাত বদলে সন্ত্রাসীদের কাছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করে।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, রাজু ফটিকছড়ির জাবেদ নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে এসব অস্ত্র খাগড়াছড়ি থেকে সংগ্রহ করে এবং হুমায়ুনসহ আরও কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প, রামুর গর্জনিয়ার চোরাকারবারি চক্র ও মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করে।

রাজু ও হুমায়ুনের বরাত দিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, কারাগারেই জাবেদের সঙ্গে তাদের সখ্যতা শুরু হয়। সেই সখ্যতা থেকেই জামিনে বের হয়ে অস্ত্র ব্যবসা শুরু করেন তারা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত