হানসি ক্রুনিয়ে, অ্যাালান ডোনাল্ড, জন্টি রোডস, গ্যারি কারস্টেন, জ্যাক ক্যালিস, শন পোলক, এবি ডি ভিলিয়ার্সের মত কিংবদন্তিরা পারেননি ভাগ্যটা বদলাতে। বারবার সেমিফাইনালের মঞ্চে ধাক্কা খেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মারক্রামের হাত ধরে দেয়ালটা ভেঙে প্রোটিয়ারা প্রথমবার খেলল কোনও বিশ্বকাপের ফাইনাল।
ফাইনালে আবার সেই চোকার্স রুপটাই বেড়িয়ে এলো। জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩০ বলে ৩০ রান। সেখান থেকে চাপে ভেঙে পড়ে ম্যাচটা ৭ রানে হারল তারা।
২০১৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপটা এইডেন মারক্রামের হাত ধরে জিতলেও এবার নতুন সূর্যোদয় আর হলো না। এজন্য হতাশ হলেও ভেঙে পড়ছেন না মারক্রাম, ‘‘এই হারটা কষ্টের তবে আমরা গর্বিত। খুব ভালো বল করেছিলাম। ১৭৬ রান তাড়া করার মতই ছিল। সেটা তাড়া করে জয়ের কাছেও পৌঁছেছিলাম। শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠিনি।’’
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৬ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলটা তুলে মেরেছিলেন ডেভিড মিলার। বল সীমানা প্রায় অতিক্রম করে ফেলেছিল। কিন্তু অবিশ্বাস্য ক্যাচে মিলারকে ফেরান সূর্যকুমার যাদব।
১৯৮৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভিভ রিচার্ডসের ক্যাচ প্রায় ৩০ গজ দৌড়ে নিয়ে ম্যাচের রং বদলে দিয়েছিলেন কপিল দেব। এবার সেটা করলেন সূর্যকুমার। তাতে হৃদয় ভাঙলেও ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় মারক্রামের, ‘‘শেষ বল পর্যন্ত লড়াইয়ে ছিলাম আমরা। আসলে সবকিছু ঘটে যায় খুব দ্রুত। তবে আমরা দেখিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকানরা লড়াই করতে জানে। শ্রদ্ধা আদায়ের মতো ক্রিকেট খেলতে পারে।’’