যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৪১১টিতে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ১১৯টি আসনে জয়ী হয়েছে।
কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে কোনও দলকে ৩২৬টি আসনে জয়ী হতে হয়। হাউস অব কমন্সের ৪১১টি আসনে জয় পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে লেবার পার্টি। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন দলটির নেতা কিয়ার স্টারমার।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ব্যালটের মাধ্যমে হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনে ভোট শুরু হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এবারের নির্বাচনে দেশটির ৯৮টি দল অংশ নেয়।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩৪ ব্রিটিশ নাগরিকও দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ জয়ে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিদায় নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি। আর এর মধ্য দিয়ে ১৪ বছর পর ক্ষমতায় ফিরছে লেবার পার্টি।
লেবার পার্টিকে সর্বশেষ ২০০৫ সালে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল ব্রিটিশরা। সেবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন দলটির তৎকালীন নেতা টনি ব্লেয়ার।
এরপর ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের প্রথম ভাগ পর্যন্ত কনজারভেটিভ পার্টির নেতাদের হাতেই থাকে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতার চাবিকাঠি।
যুক্তরাজ্যের মধ্য-ডানপন্থী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এরই মধ্যে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। বলেছেন, “আমি দুঃখিত। লেবার পার্টি এবারের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।”
লেবার পার্টির নেতা স্টারমারকে নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন সুনাক।
নির্বাচনে পরাজয়ের দায় নিয়ে তিনি বলেন, “সুশৃঙ্খল এবং শান্তিপূর্ণভাবে আজ ক্ষমতার পালাবদল হবে। ব্রিটিশরা তাদের রায় জানিয়েছে। এই নির্বাচন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। ভাবার আছে। আমি নির্বাচনে পরাজয়ের দায় নিচ্ছি।”
নিরঙ্কুশ জয়ের খবরে সুনাকের উত্তরসূরি যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী স্টারমার সেন্ট্রাল লন্ডনে উচ্ছ্বসিত জনতার উদ্দেশে বলেন, “পরিবর্তন শুরু হয়েছে। আপনারা আমাদের দেশের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন, এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ।”
লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইসলিংটন নর্থ আসন থেকে জয়ী হয়েছেন।