Beta
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

পেনশন ছাড়াই অবসরে গেলেন মতিউর

মতিউর রহমান।
মতিউর রহমান।
[publishpress_authors_box]

গত কোরবানির ঈদে ছেলের দামি ছাগল কেনা নিয়ে আলোচনায় আসা মো. মতিউর রহমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পদ হারানোর পর এবার পেনশন সুবিধা না নিয়েই অবসর নিয়েছেন।

মতিউরের আবেদনে তাকে অবসর দেওয়া হয়েছে বলে বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপন থেকে জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “মতিউর রহমান, কমিশনার, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ সংযুক্ত এর চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ধাা ৪৪১ (এ) ও ধারা ৫১ অনুযায়ী আগামী ২৯ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে সরকারি চাকরি হতে অবসরজনিত আর্থিক সুবিধা (অবসর উত্তর ছুটি, লাম্পগ্র্যান্ট ও পেনশন) ব্যতিত অবসর প্রদান করা হলো।”

বিসিএসের আবগারি ও শুল্ক ক্যাডারের কর্মকর্তা মতিউর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এনবিআর সদস্য হিসাবে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদেও ছিলেন তিনি।

ছেলের কাণ্ডে সম্পদ নিয়ে আলোচনা ওঠার পর গত ২৩ জুন তাকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকেও বাদ দেওয়া হয় তাকে।

কোরবানির ঈদের আগে ঢাকার সাদিক এগ্রো থেকে ১২ লাখ টাকায় ছাগল কিনে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক তরুণ।

তখন ফেইসবুকে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে যে ইফাতের বাবা এনবিআর সদস্য মতিউর। তাকে ‘বাবা’ সম্বোধন করে ইফাতের পোস্টও ছড়িয়ে পড়ে ফেইসবুকে।

শুধু তাই নয়, এই ছাগলের সঙ্গে ইফাতের নানা ব্র্যান্ডের গাড়ির ছবিও আসে ফেইসবুকে। তা ধরে মতিউরের সম্পদ নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।

ইফাতের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক তখন অস্বীকার করেছিলেন মতিউর। তিনি দাবি করেন, এই নামে তার কোনও ছেলে নেই।

তবে পরে আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়, মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতারের ছেলে ইফাত। এই সংসারের কথাও গোপন রাখেন তিনি।

মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী নরসিংদীর শিবপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

সম্পদ নিয়ে আলোচনা ওঠার পর বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ মতিউরসহ তার দুই স্ত্রী, প্রথম স্ত্রীর সন্তান ফারজানা রহমান ইপ্সিতা ও তৌফিকুর রহমান অর্ণব, দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান মুশফিকুর রহমান ইফাত, ইফতিমা রহমান মাধুবী ও এরফান রহমানের সব ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার নির্দেশ দেয়।

বিএফআইইউ সূত্রে জানা গেছে, জব্দ করা ব্যাংক হিসাবগুলোতে পাওয়া গেছে ৪ কোটি টাকা।

দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ১১৫টি হিসাবের সঙ্গে এই কাস্টমস কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পায় বিএফআইইউ। এর মধ্যে বেশ কিছু হিসাব ২ থেকে ৫ বার লেনদেনের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ওই সূত্র জানায়, ১০ জুন পর্যন্ত মতিউরের ব্যাংক হিসাবগুলোতে মোট ১২ কোটি টাকা ছিল। ছেলেকে নিয়ে আলোচনার পরপরই মোট ৮ কোটি টাকা তিনি সরিয়ে নেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত