যাচাই-বাছাইয়ের পর ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ শনাক্ত হলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম।
তিনি বলেন, “ভুয়া পরিচয় দিয়ে, জাল সনদ নিয়ে যারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের শাস্তি পেতে হবে।”
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ফারুক-ই-আযম। উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এবারই প্রথম নিজের শহর চট্টগ্রামে এলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি বলেন, “ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কারা, মন্ত্রণালয় সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করবে। ভুয়া পরিচয়, জাল সনদ নিয়ে যারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি এতদিন রাষ্ট্রের ভাতাও তারা ভোগ করেছে। রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার জন্য তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে।”
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজারের কিছু বেশি। যার মধ্যে এখন বেঁচে আছেন প্রায় এক লাখ।
বিভিন্ন সময়ই মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় থাকা অনেক ব্যক্তির নাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ভুয়া বা অমুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দেশে কতজন, সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য নেই মন্ত্রণালয়ের কাছে।
সার্কিট হাউজের সভায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার ফখরুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কোতোয়ালী থানা পরিদর্শন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিয়ষক উপদেষ্টা। পরে সেখান থেকে দামপাড়া পুলিশ লাইনসে যান এবং সেখানে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।