Beta
বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

ব্যাংক খাত সংস্কারে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত

ss-reserve-bank-common-300524
[publishpress_authors_box]

ব্যাংক খাতে টেকসই সংস্কারের জন্য একটি স্বতন্ত্র ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তবর্তী সরকার।  

রবিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, ওই বৈঠকে আর্থিক খাত স্থিতিশীল ও সংস্কার এবং মূল্যস্ফীতি মোকাবিলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা নিয়েও বিশদ আলোচনা হয়।  

বিশ্বের অনেক দেশেই স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন রয়েছে। বাংলাদেশে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সময় থেকে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের দাবি উঠছে। তখন থেকেই ব্যাংক খাতের অনিয়ম চিহ্নিত করাসহ খাতের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে এবং টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা ব্যাংকিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগের প্রথম বাজেট উপস্থাপনকালে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে ব্যাংক কমিশন গঠনের ঘোষণা দিলেও পরে তা আর করা হয়নি।

রবিবার ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও গভর্নরের বৈঠকে এ খাতে সংস্কারের বিষয়টি চলে আসে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে টেকসই সংস্কার করার জন্য একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এছাড়া আর্থিক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি ও সংস্কার বিষয়ে একটি রূপকল্প তৈরি করা হবে; যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।

বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে তারল্য বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। বিনিময় হার নির্ধারণের ক্রলিং পেগ ব্যবস্থায় বর্তমানে ডলারের মধ্যবর্তীর দাম ১১৭ টাকা, যা ১১৮ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ডলারের দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারবে। এতে খুব দ্রুতই আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে তারল্য ফিরে আসবে এবং বিনিময়ের পরিমাণও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

মূল্যস্ফীতির বিষয়ে বলা হয়, চাহিদা ও জোগানের যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হবে। এ জন্য মুদ্রানীতিকে সংকোচনমূলক অবস্থায় ধরে রাখতে হবে এবং একই সঙ্গে সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে স্বস্তি পেতে সবাইকে আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত জুলাই মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.৬৬ শতাংশ। গত জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৭২ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসে বেড়ে ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষ সর্বোচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ২০১১ সালের এপ্রিলে, ১৪.৩৬ শতাংশ। এরপর আর কখনও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশে ওঠেনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত