কোম্পানি একাধিক ইউনিট খুলে ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ায় ঋণ তথ্য ব্যুরোর (সিআইবি) কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, সিআইবিতে ঠিকানা সঠিকভাবে উল্লেখ না করলে একটি প্রতিষ্ঠান একাধিক ব্যাংক থেকে তার প্রাপ্যতার তুলনায় বেশি ঋণ নেওয়ার সুযোগ পেতে পারে। এ ধরনের ঋণ বিতরণ ব্যাংকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এই পরিস্থিতিতে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে (আরজেএসসি) নিবন্ধিত কোনও কোম্পানি একই বা ভিন্ন খাতের পণ্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য একাধিক ঠিকানায় ইউনিট বা কারখানা স্থাপন করলে সেই ইউনিট বা কারখানাগুলোকে আরজেএসসি কর্তৃক যে নামে নিবন্ধনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে হুবহু সেই নামেই সিআইবি ডাটাবেইজে রিপোর্ট করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো থেকে এ-সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করা হয়।
তাতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, দেশে কার্যরত বিভিন্ন ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানি কর্তৃক আলাদা আলাদা স্থানে একই বা ভিন্ন খাতের পণ্যের জন্য একাধিক ঠিকানায় স্থাপিত একটি কোম্পানির বিভিন্ন ইউনিটের নামে ঋণ মঞ্জুর করছে।
সিআইবি রিপোর্টিংয়ে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে এ ধরনের ঋণগুলোকে রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে আরজেএসসি কর্তৃক যে নামে নিবন্ধনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, হুবহু সেই নাম ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই প্রক্রিয়াটি সহজে বোঝার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে, ক লিমিটেড’ নামক একটি কোম্পানি আরজেএসসিতে নিবন্ধিত। এই কোম্পানি বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পণ্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য ইউনিট বা কারখানা স্থাপন করল, যেমন- ‘ক লিমিটেড (ইউনিট ১)’, ‘ক লিমিটেড (ইউনিট ২)’, ‘ক লিমিটেড (ইউনিট ৩)’, ‘ক লিমিটেড (গার্মেন্ট ইউনিট)’ প্রভৃতি নামীয় ইউনিটগুলোকে ‘ক লিমিটেড’ কোম্পানির আওয়াভুক্ত কোম্পানি হিসেবে গণ্য করে সেই অনুযায়ী সিআইবি ডাটাবেইজে রিপোর্ট করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘ক (ইউনিট ২) লিমিটেড’ এবং ‘ক লিমিটেড (ইউনিট ২)’ দুইটি ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি হিসেবে আরজেএসসিতে নিবন্ধিত হলে ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি হিসেবেই সিআইবি ডাটাবেইজে রিপোর্ট করতে হবে।
এই নির্দেশনা জারির সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।