Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

কেমো শেষে ব্রিটিশ রাজবধূ কেট বললেন ‘আলো আসবেই’

catherine-110924
[publishpress_authors_box]

কয়েক মাস আগে জানা যায়, ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স অব ওয়েলস উইলিয়ামের স্ত্রী প্রিন্সেস অব ওয়েলস ক্যাথরিন ক্যান্সারে আক্রান্ত। জানুয়ারিতে পেটে বড় ধরনের অস্ত্রোপচার করার পর মার্চ নাগাদ জানা যায়, তার শরীরে বাসা বেঁধেছে এই রোগ।

 এই ঘটনা ক্যাথরিন এবং উইলিয়ামকেও ‘বিশাল ধাক্কা’ দেয়। এর আগে বাকিংহাম প্রাসাদ ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিল, ৭৫ বছর বয়সী রাজা চার্লসও ক্যান্সার চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।

মেডিকেল টিম ক্যাথরিনের জন্য কেমোথেরাপির কোর্স পরিকল্পনা করেছিল যা শেষ হয়েছে।

ক্যান্সারের মুখোমুখি হওয়া, কেমোথেরাপির মধ্যে দিয়ে যাওয়া এবং জীবনকে নতুন করে শুরু করার এই পর্বে ক্যাথরিন নিজেই অনুভূতির কথা জানিয়েছেন সবাইকে।

ইউটিউবে ‘দ্য প্রিন্স অ্যান্ড প্রিন্সেস অব ওয়েলস’ চ্যানেলে ৯ সেপ্টেম্বর এক ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ভিডিওতে ৪২ বছর বয়সী ক্যাথরিন অর্থ্যাৎ কেট মিডলটন, স্বামী উইলিয়াম এবং তিন সন্তানের বিশেষ মুহূর্ত দেখা যায়।

এরমধ্যে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়ে হাজার হাজার মন্তব্য জমা হয়েছে।

কেউ লিখেছেন, “তিনি শুধু ইউকেতেই ভালোবাসা কুড়িয়েছেন তা নয়, গোটা পৃথিবী তাকে ভালোবাসে। আমরা সবাই আপনার সঙ্গে আছি ক্যাথরিন।”

আরেকজন বলেছেন, “আশা আর আনন্দের মিশেলে কী চমৎকার বার্তা! প্রিন্সেস অব ওয়েলস ও তার পরিবার সব সময় আমার প্রার্থনায় থাকবে। আমরা তোমাকে ভালোবাসি, ক্যাথরিন!”

তিন মিনিট ছয় সেকেন্ডের ভিডিওতে ক্যাথরিনের কণ্ঠে শোনা যায় তার ক্যান্সার পরবর্তী জীবন নিয়ে উপলব্ধির কথা।

ক্যাথেরিনের সেই আবেগঘন কথা তুলে ধরছে সকাল সন্ধ্যা।
“গ্রীষ্ম যখন প্রায় ফুরিয়ে আসার পথে, আমার কেমোথেরাপি চিকিৎসা শেষ হলো। আমি কাউকে বলে বোঝাতে পারবো না এরপর কী নির্ভার লেগেছিল নিজেকে। গত নয়টি মাস অবর্ণনীয় যন্ত্রণার দিন কাটিয়েছে আমার পরিবার।

আমি-আপনি জীবনকে যেভাবে দেখে অভ্যস্ত তা থেকে মোড় ঘুরে পারে হুট করেই। ওই সময় বানের জলে ভেসে থাকতে আর অজানা পথ পাড়ি দিতে একটা না একটা বিকল্প উপায় বার করতেই হয়।

কারও শরীরে একবার ক্যান্সার বাসা বাঁধলে বাকি সবার জীবনও হয়ে ওঠে জটিল, ভীতিকর এবং অনিশ্চিত। বিশেষ করে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী যদি কাছের কেউ হয়। তখন এমন আলতো করে নিজের দুর্বলতার সঙ্গে পরিচয় ঘটে, যা আগে কখনই নজরে আসেনি। সবকিছুই তখন নতুন দৃষ্টিকোণে বিচার করতে হয়।           

জীবনে অনেক কিছু হতে বাধ্য বলে আমরা অহরহ ধরে নেই। এবার সময় উইলিয়াম আর আমাকে মনে করিয়ে দিল জীবনের সাধারণত অথচ জরুরি অনেক কিছুর কথা; আর সেসবের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার কথাও। নিজেকের ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখতে হবে এবং অন্যকেও ভালোবাসা দিতে হবে। ক্যান্সার মুক্ত থাকতে এখন এতেই আমার পুরো মনোযোগ থাকবে।    

আমার কেমোথেরাপি শেষ হলেও একেবারে সেরে ওঠার যাত্রাপথ বেশ দীর্ঘ। আগামীর প্রতিটি দিন যেমন করে আসে তেমন করেই মেনে নিতে হবে আমাকে। অবশ্য আমি কাজে ফিরতে চাই। সামনের মাসগুলোতে যতটুকু পারি জনসংযোগ আরও বাড়াতে চাই।

আমার সঙ্গে এর মাঝে যত কিছুই ঘটে যাক না কেন, আশা ও উৎসাহের মিশেলে জীবনের নতুন এই পর্যায়ে পা রেখেছি আমি। এসময় সবার আন্তরিকতা পেয়েছি। সবাই খুব সাহস দিয়েছে। উইলিয়াম এবং আমি সবার কাছে ভীষণ কৃতজ্ঞ। সবার সহমর্মিতা, উদ্বেগ এবং ভরসা সত্যিকার অর্থেই মনের গভীর থেকে ছিল।

যারা ক্যান্সারের সঙ্গে বাস করছেন তাদের জন্য একটাই কথা – আমি আপনাদের সঙ্গে থাকবো, পাশে পাশে, হাতে হাত ধরে। আঁধারের পরেই তো আলো আসে, ওই আলোকে উজ্জ্বল দ্যুতি ছড়াতে দেই এবার।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত