আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পরপর দু’বার সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠনের দায় স্বীকার করে এর ব্যাখ্যা জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
গতকাল সকাল সন্ধ্যায় ‘আইনে নেই, তাহলে সেন্সরবোর্ড এল কোত্থেকে’ শিরোনামে সংবাদ প্রচারের পর আজ তথ্য মন্ত্রণালয় এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলাম সাক্ষরিত এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পায়।
বিধিমালা প্রণয়ন না করায় সার্টিফিকেশন বোর্ড বাস্তবায়ন করা যায়নি বলে জানানো হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩ এর উপ-ধারা ৩(৫) এ ‘বোর্ডের কার্যপদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে’ এবং উপ-ধারা ৫(৬) এ ‘চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের শ্রেণীবিন্যাস ও মূল্যায়ন প্রতীক বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে’ মর্মে উল্লেখ রয়েছে।”
আইনটি এখন গেজেট আকারে প্রকাশিত। তবে এ আইনের অধীনে এখনো বিধিমালা প্রণয়ণ করা যায়নি বলে ‘আইনটি কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না’।
তবে ‘দ্রুততার সঙ্গে বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে’ বলে জানাচ্ছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
আর এই ’বিধিমালা প্রণয়ন হলেই আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন শুরু হবে’।
‘সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য’ তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “চলচ্চিত্রের সেন্সর সনদ প্রদান সেন্সর বোর্ডের একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।
“সেন্সর সনদের জন্য কোনো চলচ্চিত্র জমাদানের পর সেন্সর বোর্ড কর্তৃক সেন্সর সনদ প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করতে হয় বিধায় সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট, ১৯৬৩ ও দ্য বাংলাদেশ সেন্সরশিপ অব ফিল্মস রুলস-১৯৭৭ অনুযায়ী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে।”