বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর নিরাপত্তা শঙ্কায় প্রতিযোগিতাটি সরিয়ে নিয়েছে আইসিসি। আয়োজক বাংলাদেশ থাকলেও খেলা হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ২০২৪ সালে মেয়েদের এই বিশ্বকাপ নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। এই প্রথম ছেলেদের বিশ্বকাপের সমান প্রাইজমানি থাকছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
সমান প্রাইজমানির ঘোষণা আগেই এসেছে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আইসিসি বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ২০২৪ সাল থেকে পুরুষ ও নারী ক্রিকেটের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সমান প্রাইজমানি দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী, এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দলের অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ১৩৪ শতাংশ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় ২৮ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অস্ট্রেলিয়া নারী দল পেয়েছিল ১০ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ কোটি টাকা।
চ্যাম্পিয়নের মতো রানার্স-আপেরও অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। ফাইনালে হারা দল পাবে ১১ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা প্রায় ১৪ কোটি টাকা। গতবারের ৬ লাখ ৭৫ হাজার ডলারের তুলনায় বেড়েছে ১৩৪ শতাংশ।
সেমিফাইনালে খেলা চার দলের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে যাবে ৬ লাখ ৭৫ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ কোটি টাকা। গতবারের তুলনায় বেড়েছে ২২১ শতাংশ। নকআউট পর্বেও প্রাইজমানি বেড়েছে। গ্রুপ পর্বে প্রত্যেক জয়ের অর্থও বেড়েছে। এবার গ্রুপ পর্বের প্রত্যেক জয়ের জন্য পাবে ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার বা ৩৭ লাখ ২২ হাজার টাকা। ২০২৩ সালের তুলনায় ৭৮ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে ২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট প্রাইজমানি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৫ কোটি টাকা। গতবার প্রাইজমানি ছিল ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলারের। সেই হিসাবে এবার আর্থিক পুরস্কার বেড়েছে ২২৫ শতাংশ।
৩ অক্টোবর শুরু হচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শারজা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ।