সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ কেন আলাদা? এই প্রশ্ন আসতেই পারে বাংলাদেশের যে কারও কৌতূহলী মনে। সেখানে এম এ মান্নানের পক্ষে শিক্ষার্থীদের রাজপথে দাঁড়ানোতেই এই প্রশ্ন সামনে আসে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার হচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই। তাদের কারও পক্ষে নিজ এলাকায় কোনও প্রতিবাদ দেখা যায়নি। কিন্তু মান্নানের এলাকার শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়েছে রাজপথে। তারা মান্নানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছে, দাবি করছে তার মুক্তির।
৭৮ বছর বয়সী মান্নান প্রথাগত রাজনীতিক নন; সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০৮ সালে প্রথমে সংসদ সদস্য হন, পরে হন মন্ত্রী।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর সারাদেশে আক্রান্ত হয় তার সরকারের মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য ও দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘর। কেউ কেউ বিদেশে পালিয়ে যায়, কেউ দেশেই লুকিয়ে পড়ে। তারমধ্যে কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়েছে এবং হচ্ছে।
কিন্তু পুরোটা সময় মান্নান এলাকাতেই ছিলেন। শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া গ্রামে তার পৈত্রিক ভিটা। সেখানেই তার জন্ম। তবে শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদরে বাড়ি করে থাকেন তিনি।
সরকার পতনের পর সেই বাড়িতেই ছিলেন মান্নান। মাঝে-মধ্যে গ্রামের স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি দেখাও করে আসছিলেন বলে স্থানীয়রা জানায়।
সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার তার জামিন শুনানি হলেও আদালত তা নামঞ্জুর করে। তিনি এখন সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে রয়েছেন।
সরকার পতনের পর শেখ হাসিনার পক্ষে তার জেলা গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ হয়েছিল। তার বাইরে মান্নানের পক্ষেই বিক্ষোভ দেখা গেল।
কেন? তার উত্তরে স্থানীয়রা বলছে, মান্নান নিজ এলাকায় রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করতেন না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনায় রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকেও প্রশ্রয় দিতেন না। তাছাড়া নিজের উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম, বিশেষ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সেই কারণে এলাকায় তিনি জনপ্রিয়।
কী দাবি জানাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
মান্নানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শুক্রবার সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে তার ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তারা মানববন্ধনের পর সড়ক অবরোধও করেছিল।
রবিবার সকালে আবার বিক্ষোভ মিছিল বের করে মান্নানের গ্রাম ডুংরিয়া স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা মিছিল নিয়ে শান্তিগঞ্জ এলাকায় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের পাশে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে সড়কে অবস্থান নেয়। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে টেক্সটাইল ইনিস্টিটিউট ও আবদুল মজিদ কলেজে গেলে সেখানকার শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেয়।
এক পর্যায়ে পাশের হাজী আকরাম উল্লাহ দাখিল মাদ্রাসা ও জয়কলস উজানীগাঁও সরকারি রসিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে আসে।
পরে পাঁচ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেখানে মানববন্ধন করে এবং ঘণ্টা খানেক সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, এম এ মান্নান অবহেলিত সুনামগঞ্জে উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচন করেছেন। তার চেষ্টায় সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, শিল্প ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আজিজুননেসা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েছে। একজন শিক্ষা অনুরাগী ব্যক্তির জন্যই তাদের এই আন্দোলন।
শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেয়, মান্নানকে মুক্তি না দিলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
শান্তিগঞ্জ সদরে মান্নানের বাড়ি ‘হিজল’ এর কাছেই আব্দুল মজিদ কলেজ। এই কলেজের শিক্ষার্থীরাও নেমেছিল রাজপথে।
কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মাসুদুর রউফ পল্লব সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, সাবেক মন্ত্রীর নিজ গ্রাম ডুংরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা রবিবার মিছিল নিয়ে এলে তার কলেজের শিক্ষার্থীরাও নেমে পড়ে।
“আমি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা বিক্ষোভে চলে যায়। ঘণ্টাখানেক শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে তারা কলেজে ফিরে আসে।”
তাদের কি পরিকল্পিতভাবে নামানো হয়েছিল- জানতে চাইলে শিক্ষক পল্লব বলেন, “এখানে কোনও রাজনৈতিক চিন্তা কাজ করেনি। কলেজের উন্নয়নে উনার অবদান ও মাঝে-মধ্যেই কলেজে বেড়াতে আসতেন। এজন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও তার একটা সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এজন্যই তারা তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করেছে।”
যা বলছে স্থানীয়রা
এলাকার উন্নয়নে মান্নানের অবদান স্মরণ করে ডুংরিয়া গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি জহুর আলী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ডুংরিয়া গ্রামে কোনও উচ্চ বিদ্যালয় ছিল না। ১৯৮৭ সালে এম এ মান্নান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক থাকাকালে গ্রামের মানুষদের নিয়ে উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেন।
“পরবর্তীতে এই স্কুলের এমপিওভুক্তিসহ সকল অবকাঠামো উন্নয়ন তার হাত ধরেই হয়েছে। শুধু এই স্কুল নয়, গ্রামের প্রতিটি উন্নয়নে তিনি নিরলস ভূমিকা পালন করেছেন।”
জহুর আলী বলেন, “দল-মত নির্বিশেষে গ্রামের সকল মানুষের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক। কারও সঙ্গে তার কোনও বিরোধ নেই। রাজনৈতিক চিন্তা থেকে কোনও বিভাজন বা পক্ষপাতিত্ব তিনি কখনও করেননি। তাই কেউ তাকে দলীয় মানুষ হিসেবে দেখে না।
“গ্রামের একজন কৃতি সন্তান ও বয়ঃজ্যেষ্ঠ হিসেবে সকলে তাকে সম্মান করে, ভালোবাসে। একারণে তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ছাত্ররা মিছিল করেছে। এখানে কোনও রাজনৈতিক চিন্তা কাজ করেনি।”
ডুংরিয়া গ্রামের যুবক ইকবাল হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এম এ মান্নান এমপি-মন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই গ্রামের উন্নয়নে নিবেদিত। সরকারি কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় গ্রামের রাস্তা পাকা করেছেন। গ্রামে কৃষি ব্যাংকের শাখা খোলার ব্যবস্থা করেছেন। গ্রামের বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করেছেন।
“তিনি একজন শিক্ষা অনুরাগী ব্যক্তি। ব্যক্তিগত অর্থায়নে দীর্ঘদিন থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এম এ মান্নান মেধাবৃত্তি পরিচালনা করে আসছেন। তিনি তার পৈত্রিক ভিটায়ও তার মায়ের নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। এসব কারণে শিক্ষার্থীরা তাকে পছন্দ করে। শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করেছে। এখানে রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্য নেই। কেউ তাদের প্রভাবিতও করেনি।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার একজন সরকারি কর্মকর্তা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এম এ মান্নান গতানুগতিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের চেয়ে ব্যতিক্রম। তিনি জনপ্রতিনিধি হিসাবে সর্বজনীন থাকার চেষ্টা করেছেন। যে কেউ তার কাছে গেলে দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে মূল্যায়ন করতেন।
“সাধারণ জীবন-যাপন ও উদারভাবে সকলের সঙ্গে মিশতেন বলে সাধারণ মানুষ তাকে পছন্দ করে। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে পারছে না। না হলে এলাকার উন্নয়নে মন্ত্রী মহোদয়ের যে অবদান মানুষ বিক্ষোভ-প্রতিবাদে সোচ্চার করে রাখত গোটা এলাকা।”
তবে মান্নানের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় কিছু মানুষ অপকর্ম করেছিল বলে শান্তিগঞ্জের একজন সাংবাদিক জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সংবাদকর্মী বলেন, “শান্তিগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুটি বলয় রয়েছে। একটি বলয় সব সময় এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে। তিনি (মান্নান) আওয়ামী লীগের একটি অংশ ও বিএনপির একটি অংশকে প্রাধান্য দিতেন। তার নাম ব্যবহার করে গুটিকয়েক জন কিছু অপকর্ম করেছে। এজন্য তিনি কিছুটা বিতর্কিতও হয়েছেন।
“তবে এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল নিবিড়। সরকার পতনের পর থেকে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। মাঝে-মধ্যে গ্রামের স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতেন। শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষেও পাঠ দিতেন তিনি।”
“আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার মতো যারা আছেন, তারা সকলেই এখন পলাতক। এজন্য কোনও অবস্থাতেই শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদকে রাজনৈতিক রং দেওয়া যাবে না। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করেছে,” বলেন এই সংবাদকর্মী।
মন্ত্রী থেকে আসামি
মান্নানের জন্ম ১৯৪৬ সালে, তার পড়াশোনার শুরু গ্রামের স্কুলে। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ভর্তি হন সুনামগঞ্জ জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরে বৃত্তি পেয়ে পড়ালেখার জন্য চলে যান পাকিস্তান এয়ারফোর্স স্কুলে।
পাকিস্তান এয়ারফোর্স কলেজ, সারগোদা থেকে এ লেভেল এবং ও লেভেল শেষ করেন। এরপর ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পূর্ব পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন।
কর্মজীবনে তিনি কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক, বিটিভির মহাপরিচালক এবং এনজিও ব্যুরোতে মহাপরিচালক হিসাবে কাজ করেন।
জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে ইকোনমিক মিনিস্টারও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান হিসাবে ২০০৩ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন।
২০০৫ সালে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এম এ মান্নান। তবে সেবার চার দলীয় জোটের প্রার্থী শাহীনূর পাশা চৌধুরীর কাছে সামান্য ভোটে পরাজিত হন।
পরে ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তার তিন বছর পর ২০০৮ সালে সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর- শান্তিগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।
২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয় তাকে। ২০১৮ সালে আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে পান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জিতলেও এই দফায় মন্ত্রিত্ব পাননি তিনি। তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয় তাকে।
২০১০ ও ২০১৩ সালে গঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যও ছিলেন মান্নান। বর্তমানে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
মান্নানের স্ত্রী জুলেখা মান্নান ঢাকা হলিক্রস কলেজের বায়ো কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। এ দম্পতির মেয়ে চিকিৎসক, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তাদের একমাত্র ছেলে সাদাত মান্নান যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তিনি যুক্তরাজ্যের বার্কলেজ ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।
২০২৪ সালের ৫ জুন অনুষ্ঠিত শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সাদাত। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত হলে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান। সাদাত মান্নান শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
মান্নানসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে গত ২ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রত বিচার) আদালতে একটি মামলা হয়।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা এরোয়াখাই গ্রামের বাসিন্দা মো. হাফিজ আহমদ এই মামলা করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার মধ্যে গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জ পৌর শহরে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থী জহুর আলীর বড় ভাই তিনি।
ওই মামলার আসামিদের মধ্যে কেবল মান্নানই গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন।
সোমবার মান্নানের জামিন শুনানির খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সুনামগঞ্জ শাখার ব্যানারে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ হয়। তারা মান্নানের বিচার দাবি করে। জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ থেকেও মান্নানের বিচার দাবি করা হয়।