হিজবুল্লাহর হাত থেকে নিজেদের দেশকে মুক্ত করতে লেবাননের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি তাদের বলেছেন, গাজাবাসীর মতো ধ্বংস দেখতে না চাইলে এখনই সুযোগ হিজবুল্লাহকে বিতাড়িত করে লেবাননকে বাঁচানোর। নয়তো দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ ডেকে এনে গাজার মতোই পরিণতি ভোগ করতে হবে।
লেবাননের দক্ষিণ-পূর্বে নতুন করে কয়েক হাজার সেনা পাঠিয়ে হিজবুল্লাহর ওপর হামলা আরও জোরদোর করার মধ্যেই মঙ্গলবার লেবানিজদের প্রতি এই সাবধান বাণী উচ্চারণ করেন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, লেবাননে সোমবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর ৫০ জন সদস্য নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এদিন ইসরায়েলের হামলায় ৩৬ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে দেড়শ জন।
ইসরায়েলের সর্বাত্মক হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেশটির উত্তরের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হাইফা লক্ষ্য করে রবিবার থেকে রকেট ছুড়ে চলেছে হিজবুল্লাহ। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই হামলায় আহত হয়েছে ১২ জন।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ভিডিও বার্তায় হাজির হন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি লেবাননের জনগণের উদ্দেশে বলেন, “দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ গাজাকে ধ্বংস আর দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই দেয়নি। গাজার মতো দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ দেখতে না চাইলে হিজবুল্লাহকে দেশছাড়া করে লেবাননকে রক্ষা করুন। এখনই সেই সুযোগ।”
লেবানিজদের তিনি বলেন, “আমি আপনাদের বলছি, যুদ্ধ থামাতে চাইলে হিজবুল্লাহর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করুন।”
ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু দাবি করেন, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করার পর তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিয়েদ্দিনকেও হত্যা করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডএফ)।
যদিও আইডিএফ পরে জানিয়েছে, সাফিয়েদ্দিনের মৃত্যু সম্পর্কে তারা নিশ্চিত নন।
শুক্রবার সকালে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর পাঁচদিন অতিবাহিত হয়েছে, কিন্তু নিজেদের শীর্ষ নেতা সাফিয়েদ্দিনের এখনও কোনও খোঁজ পাচ্ছে না হিজবুল্লাহ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সাফিয়েদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে দাবি করলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইডিএফের মুখপাত্র ডেনিয়েল হাগারি বলেন, “শুক্রবারের বিমান হামলায় সাফিয়েদ্দিন মারা গেছে- প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই দাবি সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।”