ইসলাম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় তিন ধর্মীয় উৎসবে সরকারি ছুটির সংখ্যা বাড়ছে। এতদিন দুই ঈদ মিলে ছুটি মিলত ছয় দিন, যা এবার হচ্ছে ১১ দিন। নির্বাহী আদেশে, পূজার ছুটিও বাড়ছে একদিন।
২০২৫ সালে ঈদুল ফিতরে পাঁচ দিন ও ঈদুল আজহায় ছয়দিন করে সরকারি ছুটি পাবেন চাকরিজীবীরা। এছাড়া দুর্গাপূজায় ছুটি থাকবে নবমী ও দশমীর দিন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আগামী বছরের সরকারির ছুটির তালিকার অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানেই ঈদ ও পূজায় যুক্ত হয় নতুন ছুটি।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদ আগামী বছর সাধারণ ও নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে মোট ২৬ দিন ছুটি অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ৯ দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। শুক্রবার পাঁচটি ও শনিবার চারটি।
এতদিন দেশে দুই ঈদে তিনদিন করে ছুটি মিলত, পূজার জন্য বরাদ্দ ছিল একদিন। কখনও কখনও শুক্র-শনিবার মিলে গেলে ছুটি বাড়ত। আবার কোনও কোনও বছর নির্বাহী আদেশে ঈদের ছুটি একদিন বাড়াতেও দেখা গেছে।
উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বছর সাধারণ ছুটি ১২ দিন ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ১৪ দিন। সে হিসেবে চলতি বছরের চেয়ে আগামী বছর ছুটি বাড়ছে চারদিন।
তবে গত বছরগুলোয় ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে ছুটি থাকত, যা বাতিল হয়েছে। সেইসঙ্গে বাতিল হয়েছে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসও।
প্রেস উইংয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুমোদিত ছুটির তালিকায় জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে ১২ দিন থাকবে সাধারণ ছুটি। এছাড়া বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকবে ১৪ দিন।
চলতি বছর সাধারণ ছুটি ছিল ১৪ দিন, নির্বাহী আদেশে ছুটি ছিল আটদিন। অর্থাৎ মোট ছুটি ছিল ২২ দিন। যা এবার বেড়ে ২৬ দিন হয়েছে।