Beta
বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

দাম কমাতে শুল্ক ছাড়ের দাওয়াই

এনবিআর
ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবন। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

অসহনীয় মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে সরকার একযোগে তিন নিত্যপণ্য চিনি, ভোজ্যতেল ও ডিম আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতেই এই তিন নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট কমানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বৃহস্পতিবার চিনি, ভোজ্যতেল ও ডিম আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়ে চারটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এনবিআর।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ডিমের বিদ্যমান ২৫ শতাংশ থেকে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোজ্যতেলের মূল্য কমাতে আমদানী পর্যায়ে ৫ শতাংশ শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ মোট ২০ শতাংশ কমানো হয়েছে।

পাশাপাশি চিনি আমদানির ওপর প্রতিটনে ৬ হাজার টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা কমিয়ে ৪ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিকেজিতে দেড় টাকা আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে।

এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।

এক সপ্তাহ আগে গত ৯ অক্টোবর এনবিআরের এক প্রজ্ঞাপনে চিনি আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণশুল্ক কমানো হয়েছিল।

ডিম

এনবিআরে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ডিমের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ (পাঁচ) শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আমদানী পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের মূল্য ১৩ টাকা ৮০ পয়সা কমবে।

এনবিআর মনে করছে, আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়বে এবং ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের মূল্য হ্রাস পাবে বিধায় তা সাধারণ ক্রেতার জন্য সহজলভ্য হবে। ডিম ব্যবহারকারী বিভিন্ন শিল্প যেমন কনফেকশনারী, বেকারি, ডিম নির্ভর খাদ্য উৎপাদক শিল্পের খরচ কমবে এবং বাজারে স্বস্তি ও ভারসাম্য ফিরে আসবে।

ভোজ্যতেল

এনবিআর জানিয়েছে, পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত পাম তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে বিদ্যমান ভ্যাট ১৫ শতাংশ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

চিনি

এনবিআর প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, গত ৮ অক্টোবর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এই পণ্যটির মূল্য আরও কমিয়ে আনতে এবার চিনির বিদ্যমান আমদানি শুল্ক প্রতি টন ৬ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৪ হাজার ৫০০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।

চিনির ওপর আমদানি শুল্ক এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানোর ফলে পরিশোধিত চিনি আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ বাড়বে এবং চিনির মূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে বলে আশা করছে এনবিআর।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত