রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতির মুখমণ্ডল ‘হিজাব’ সদৃশ্য কালো কাপড়ে মোড়ানোর ঘটনা তদন্ত করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কমিটি গঠন করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির এই সন্ত্রাসবিরোধী স্মারক ভাস্কর্যে রবিবার রাতেও ওই প্রতিকৃতিতে কালো কাপড় দেখা দেখা যায়। পরবর্তী সময়ে কয়েকজন সেই কাপড় নামিয়ে ফেলেন।
তবে ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু জানা সম্ভব হয়নি। এমনকি কখন এই কালো কাপড় মোড়ানো হলো, সে বিষয়েও কেউ সুস্পষ্ট কিছু বলতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, দুটি বাইকে তিনজন লোক হঠাৎ রাজু ভাস্কর্যে সামনে এসে দাঁড়ায়। তাদের মাথায় ক্যাপ এবং মুখে মাস্ক ছিল। ফলে, তাদের চেহারা দেখা যায়নি। তারা এসে তড়িঘড়ি করে ওই কাপড় মুড়িয়ে চলে যায়। যাওয়ার আগে তাদের একজনকে ছবি তুলতে দেখা যায়।
রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী সঙ্গে কয়েকজন নিয়ে ওই কালো কাপড় নামিয়ে ফেলেন।
সোমবার লিটন নন্দী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। যারা এসব ঘটিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা উচিত। তাদের শাস্তির আওতায় আনা জরুরি। দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্যই এ কাজ হয়েছে।”
এ ঘটনা জানার পর রবিবার রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ দুজন সহকারী প্রক্টরকে ঘটনা দেখার জন্য পাঠান। সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও মো. রবিউল ইসলাম রাত ১টার দিকে রাজু ভাস্কর্য এলাকা পরিদর্শন করেন।
রাজু ভাস্কর্যে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ।
সোমবার সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “আমরা আজকের মধ্যেই তিন থেকে চারজন সদস্যের একটা তদন্ত কমিটি গঠন করব। বিভিন্ন এজেন্সি থেকে ভিডিও ফুটেজ নিয়ে আমরা এটি তদন্ত করব। এখানে এসব করা যাবে না।”