নাইকো দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে করা মামলায় আরও ৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মুহম্মদ আলী আহসানের আদালতে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। আগামী ৪ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সাক্ষীরা হলেন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কাশেম, সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ আহমদ হাক্কানী, বাংলা গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ব্যবস্থাপক পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভুইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় এদিন আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবীরা হাজিরা দাখিল করেন। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক।
পরের বছরের ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।