৫৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে অলআউটের অপেক্ষায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা গুদাকেশ মোটি আর কতক্ষণ টিকবেন? কত দ্রুত ক্যারিবিয়ানদের গুটিয়ে দিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করা যায়, সেই হিসাবই হয়তো তখন মেলাচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে হাল ছাড়েনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিপর্যস্ত ব্যাটিংয়ের ধাক্কা কাটিয়ে লড়াই করে সম্মানজনক স্কোর গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দাঁড় করিয়েছিল। তাতেও সিরিজ হার ঠেকাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কা ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানদের। বৃষ্টির কারণে দেরিতে খেলা শুরু হওয়ায় পাল্লেকেলের ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪৪ ওভারে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫৮ রানে ৮ উইকেট হারানো সফরকারীরা ৩৬ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে করে ১৮৯ রান। সেই লক্ষ্য ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৪ বল আগে টপকে যায় শ্রীলঙ্কা।
এই জয়ে এক ম্যাচ আগেই তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে লঙ্কানরা। ২৬ অক্টোবর তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে এই পাল্লেকেলেতেই মুখোমুখি হবে দল দুটি।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের সামনে ভেঙে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ। একের পর এক উইকেট হারানোর মিছিলে টপ অর্ডারের মধ্যে কেবল ওপেনার ব্রেন্ডন কিং গিয়েছেন দুই অঙ্কের ঘরে। ১৮ বলে করেন ১৬ রান। মিডল অর্ডারেও ব্যর্থতার গল্প। শাই হোপ-রোস্টন চেসদের আসা-যাওয়ায় ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কা জন্মেছিল।
তবে শেরফান রাদারফোর্ড ও মোটির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে লড়াই করার পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানদের ওয়ানডে ইতিহাসে নবম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন তারা। দুজন মিলে করেন ১১৯ রান। রাদারফোর্ড খেলেন ৮২ বলে ৮০ রানের ইনিংস। আর ১০ নম্বরে নেমে মোটি অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে।
শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে সফল বোলার ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। এই লেগ স্পিনার ৮ ওভারে ৪০ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা মাহিশ থিকসানা ও আসিথা ফার্নান্ডো দুজনই নেন ৩টি করে উইকেট।
১৯০ রানের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভালো ছিল না। ২৫ রানে হারিয়ে বসে ২ উইকেট। ওই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে চারিথ আসালঙ্কার অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান অধিনায়ক ৬১ বলে অপরাজিত থাকেন ৬২ রানে। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন সাদিরা সামরাবিক্রমা (৩৮) ও নিশান মাদুশকা (৩৮)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলজারি জোসেফ ৬ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।