বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে এড়িয়ে সংস্থাটির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা করতে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
চিঠিতে সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে আর্থিক ও ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে মামলা থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে ডব্লিইএইচওকে চিঠি দেওয়ার তথ্য জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই দায়িত্ব পালনে তাকে বসবাস করতে হচ্ছে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে।
গত ৯ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথ অনুষ্ঠানেও মা শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
পুতুলই প্রথম বাংলাদেশি যিনি ডব্লিউএইচও’র এই আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী একজন পরিচালক পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। সে হিসেবে আরও চার বছরের বেশি সময় তিনি এই দায়িত্বে থাকবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনাও এখন দিল্লিতেই অবস্থান করছেন।
ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
সেখানে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেওয়া চিঠিতে, সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে আর্থিক ও ফৌজদারি অভিযোগে মামলা থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, “সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও আর্থিক অপরাধের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আর্জেন্ট অ্যাকশন নেওয়ার জন্য ডব্লিউএইচওকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সরকার যাতে সরাসরি সংস্থাটির সঙ্গে যোগোযোগ করতে পারে।”
গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর গত প্রায় তিন মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রাণহানির ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২৩০টিরও বেশি মামলা হয়েছে। গণহত্যার অভিযোগে তার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার উদ্যোগও নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
কিছু মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি আসামি করা হয়েছে তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কেও।