সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চালের উপর থেকে সব আমদানি ও নিয়ন্ত্রক শুল্ক প্রত্যাহার করেছে।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজস্ব কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রণ আদেশ (এসআরও) জারি করেছে।
এর আগে খাদ্য অধিদপ্তর দেশের সামগ্রিক চালের মজুদ নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়। বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) চালের দাম পরিস্থিতি নিয়ে খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরকে আরেকটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।
দুইটি প্রতিবেদনেই চালের ওপর সব ধরনের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
স্থানীয় চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সহায়তার জন্য গত ২০ অক্টোবর এনবিআর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করে।
এরপর ব্যবসায়ীরা বলেন, চালের আমদানি শুল্ক কমানো হলেও কত টন আমদানি করা যাবে বা আমদানি সবার জন্য উন্মুক্ত নাকি শর্তসাপেক্ষে হবে– এই বিষয়গুলো পরিষ্কার করে প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় তারা চাল আমদানি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন। ফলে দাম কমিয়ে আনতে সরকারের প্রচেষ্টার সাফল্য নিয়েও সন্দিহান তারা।
এবার চালের উপর থেকে সব আমদানি ও নিয়ন্ত্রক শুল্ক প্রত্যাহার করে এসআরও জারি করা হলো।
নতুন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, আমদানি ও নিয়ন্ত্রক শুল্ক বাদ দিয়ে শুধু ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রাখা হয়েছে। এই কৌশলগত হ্রাসের ফলে চালের আমদানি মূল্য কেজিপ্রতি প্রায় ৯ টাকা ৬০ পয়সা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে ভোক্তাদের জন্য মূল্য সাশ্রয়ী সীমার মধ্যে রাখা যাবে বলে আশা করছে এনবিআর।
সরকারের দাবি অনুযায়ী, গত অর্থবছরে দেশে চাল আমদানি করতে হয়নি। গত ২৫ মে তৎকালীন খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছিল।