যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট হবে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর)। তার আগে ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পদের পরিমাণ আসলে কত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কারণ যুক্তরাষ্ট্রের একটি দেওয়ানি আদালত রায় দিয়েছে, ট্রাম্প বছরের পর বছর ধরে তার সম্পদের পরিমাণ অতিরঞ্জিত করে দেখিয়েছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের রানিং মেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জেডি ভ্যান্স এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও টিম ওয়াল্জের আর্থিক অবস্থা নিয়েও আগ্রহ বেড়েছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক তাদের কার কত সম্পদ, তারা কীভাবে তাদের সম্পদ অর্জন করেছেন এবং নির্বাচনে জয়ী হলে তারা কত বেতন পাবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প
রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনীতিবিদ হওয়ার আগে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বেশ নাম করেছিলেন।
১৮টি গলফ এবং সোশাল ক্লাব, ফ্লোরিডায় ২০-একরের মার-এ-লাগো এস্টেট, হোটেল, অফিস বিল্ডিং, আবাসিক ভবন এবং অন্যান্য এস্টেটসহ ট্রাম্প বেশ সম্পদশালী।
কিন্তু ৭৮ বছর বয়সী বৃদ্ধ ট্রাম্পের সম্পদের মূল্য এবং তার মোট সম্পদের পরিমাণ দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত ছিল। বিষয়টি অবশেষে আদালতেও গড়ায়।
নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের অনুমান, ট্রাম্প তার সম্পদের পরিমাণ ৩.৬ বিলিয়ন ডলারের মতো বেশি দেখিয়েছেন।
ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সম্পদ তার ট্রুথ সোশাল প্ল্যাটফর্মের মূল কোম্পানির আর্থিক অবস্থায় পরিবর্তনের কারণে তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ এ বছর উল্লেখযোগ্যভাবে ওঠানামা করেছে।
ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ (টিএমটিজি) নামে পরিচিত কোম্পানিটি গত মার্চ মাসে প্রকাশ্যে আসে এবং ওয়াল স্ট্রিটে আত্মপ্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর বাজারমূল্য ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।
তবে পরে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমে আসতে থাকে। জুলাইয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা থেকে জো বাইডেন সরে দাঁড়ালে এবং সেপ্টেম্বরে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ট্রাম্পের বিতর্কের পরে তা আরও কমতে থাকে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে মতে, ট্রাম্প কোম্পানিটির ৫৭ শতাংশের মালিক এবং তার শেয়ারের মূল্য এখন প্রায় ১.৬ বিলিয়ন ডলার।
তার কাছে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ নিয়েও বিতর্ক আছে। মার্চে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তার কাছে নগদ প্রায় ৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি) ডলার আছে। যদিও তার আইনজীবীরা সম্প্রতি দাবি করেন, দেওয়ানি জালিয়াতির মামলায় তাকে যে ৪৫৪ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল তা তিনি দিতে পারবেন না।
ট্রাম্পের আয়
প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার অংশ হিসাবে আগস্টে প্রকাশিত নথিপত্র থেকে জানা যায়, ট্রাম্প তার গলফ কোর্স এবং রিয়েল এস্টেট থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করছেন।
২০০ পৃষ্ঠার ওই নথিতে শুধু গত এক বছরের তথ্য রয়েছে, যাতে ট্রাম্পের অর্থ এবং বিনিয়োগের একটি সীমিত চিত্র তুলে ধরা হয়। কিন্তু এতে তার ব্যবসায়িক ক্ষতির বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া বেশিরভাগ সম্পদের প্রকৃত মূল্য দেখানো হয়নি।
তবে এতে তার বিস্তৃত ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য এবং বড় আয়ের উৎসগুলো দেখানো হয়। এতে দেখানো হয়, ট্রাম্প মার-এ-লাগো রিসোর্ট থেকে ৫৬ মিলিয়ন; নিউ জার্সির গলফ ক্লাব থেকে ৩৭ মিলিয়ন; ফ্লোরিডার জুপিটার ক্লাব থেকে ৩১ মিলিয়ন; এবং স্কটল্যান্ডের টার্নবেরি কোর্স থেকে ২৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেন।
নথিগুলোতে আরও দেখানো হয়, বিশ্বজুড়ে ঐতিহ্যবাহী স্টকগুলোতে তার বিস্তৃত কোম্পানি এবং বিনিয়োগ রয়েছে। আর্জেন্টিনা, বেলারুশ, কিউবা এবং ভারতের মতো কিছু দেশের বাজারে তার কোম্পানি রয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
এ ছাড়া ট্রাম্প ডিজিটাল টোকেন বিক্রি করা ফার্ম এনএফটি ইন্টারন্যাশনাল থেকে লাইসেন্সিং ফি বাবদ ৭.১৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেন বলেও দেখানো হয়।
পরোক্ষ আয়ের কিছু অস্বাভাবিক উৎসও দেখানো হয়। যেমন, স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডের এককালীন সদস্য হিসাবে ৯০ হাজার ৭৭৬ ডলারের বার্ষিক পেনশন।
লেটার্স টু ট্রাম্প নামে একটি বই এবং ‘অ্যা এমএজিএ’ জার্নি নামে আরেকটি বইয়ের রয়্যালটিসহ বক্তৃতা এবং বই বিক্রি থেকেও মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় দেখানো হয়।
ট্রাম্প এখনও পুরোনো বইগুলো থেকেও রয়্যালটি পাচ্ছেন বলে দাবি করা হয়। যেমন দ্য আর্ট অব দ্য ডিল, যা ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। বইটি থেকে ট্রাম্প গত বছর ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার পান বলে জানানো হয়।
ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়াও তার আয় বাড়াতে সাহায্য করছে বলে দাবি করা হয়। বলা হয়, এপ্রিলে রক্ষণশীল সমকামী অধিকার গোষ্ঠী লগ কেবিন রিপাবলিকানদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনি ২ লাখ ৩৭ হাজার ডলার পেয়েছেন।
আইনি খরচ
প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের বেশিরভাগ ক্ষতির বিশদ বিবরণ না থাকলেও এতে কিছু জরিমানা তালিকাভুক্ত করা হয়, যা তাকে বেশ কয়েকটি মামলার পরে দিতে বাধ্য করা হয়।
একটি ছিল তার সম্পদের উপর দেওয়ানী জালিয়াতির মামলা, যাতে তাকে ৪৫৪ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়। তবে ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে ট্রাম্প তার ঋণের পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন ডলার বলে তালিকাভুক্ত করেছেন।
তার আগে ট্রাম্পকে লেখিকা ই জিন ক্যারলের একটি মানহানির মামলায় ৮৩.৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ক্যারল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন।
ট্রাম্প তার আইনি ফি বাবদ খরচ প্রকাশ করেননি, যার পরিমাণ বেশ বড়, কারণ তিনি বেশ কয়েকটি ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন।
ট্রাম্পের মোট সম্পদের পরিমাণ কত
ফোর্বসের রিয়েল-টাইম নেট ওয়ার্থ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ১ অক্টোবর পর্যন্ত ট্রাম্পের মোট সম্পদের মূল্য ছিল প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার।
এরপর গত ২৯ অক্টোবর ফোর্বস জানায়, ট্রাম্পের মিডিয়া কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এক মাসে তার সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুন হয়ে ৮ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তার তিন দিন পরই আবার ২.৪ বিলিয়ন ডলার কমে ৫.৬ বিলিয়নে নেমে আসে।
কমলা হ্যারিস
২০২১ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে কমলা হ্যারিস দীর্ঘদিন আইনজীবী হিসাবে কাজ করেন। ১৯৮৯ সালে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পরপরই কমলা একজন ডেপুটি প্রসিকিউটর হিসেবে কাজ শুরু করেন।
কমলা ২০১৬ সালে সেনেটর হওয়ার ৬ বছর আগে (২০১০ সালে) ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হন।
ক্যালিফোর্নিয়া সরকারের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, অ্যাটর্নি জেনারেল থাকাকালে তার বার্ষিক বেতন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭১ ডলার থেকে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৫ ডলারের মধ্যে ছিল।
সেনেটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল সেনেটরকে বছরে সরকারি বেতন দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ডলার করে। কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে এর চেয়ে বেশি উপার্জন করেন।
কমলার স্বামী ডগ এমহফও ক্যারিয়ারে সাফল্য পেয়েছেন, যাকে তিনি ২০১৪ সালে বিয়ে করেছিলেন। ২০২০ সালে কমলা ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সময় তার স্বামী জর্জটাউন ল’ স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করার আগে বিনোদন আইনজীবী হিসাবে দুই দশকেরও বেশি সময় কাজ করেছেন।
২০১৯ সালের ফোর্বস প্রোফাইল অনুযায়ী, এই দম্পতি সান ফ্রান্সিসকো, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে তিনটি বাড়ির মালিক।
সিএনবিসির প্রতিবেদনে মতে, আগস্টে প্রকাশিত নথিতে, কমলা হ্যারিস ব্যক্তিগতভাবে ৮ লাখ থেকে ১.৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সিকিউরিটিজ বিনিয়োগ এবং ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারের ব্যক্তিগত নগদ হোল্ডিং দেখিয়েছেন।
তার স্বামীরও কমপক্ষে ১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এবং নগদ কমপক্ষে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার নগদ অর্থ রয়েছে।
কমলার মোট সম্পদ কত
বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মোট সম্পদ ২০২২ সাল থেকেই নিয়মিতভাবে সোশাল মিডিয়া বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠে। সে সময় অনলাইনে শেয়ার করা একটি গ্রাফিক চিত্রে দেখা যায়, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২০১৯ সাল থেকে চারগুন বেড়ে ২০২২ সালে ২৮ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। ২০১৯ সালে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬.৩ মিলিয়ন ডলার।
ওই গ্রাফিক চিত্রে আরও দাবি করা হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সম্পদের পরিমাণ একই সময়ে ৯ মিলিয়ন থেকে ৪১ মিলিয়ন হয়েছে। তবে ওই দাবির কোনও বাস্তব ভিত্তি বা প্রমাণ নেই। সম্প্রতি নির্বাচনের কয়েক মাস আগে বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনা ওঠে।
বাস্তবতা হলো কমলা হ্যারিস ও তার স্বামীর মোট সম্পদের মূল্য ২০১৯ সালে আনুমানিক ৬ মিলিয়ন ডলার ছিল এবং ফোর্বসের হিসাব মতে, বর্তমানে তা প্রায় ৮ মিলিয়ন ডলার।
টিম ওয়াল্জ
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ছিলেন।
তার প্রকাশিত নথি অনুযায়ী, প্রার্থীদের মধ্যে তারই সবচেয়ে কম সম্পদ রয়েছে। স্টক, বন্ড বা রিয়েল এস্টেটে তার কোনও বিনিয়োগ নেই।
মিনেসোটার গভর্নর হিসেবে ওয়ালজের বর্তমান বেতন ১ লাখ ২৭ হাজার ৬২৯ ডলার। গত বছর তার বেতন ১ লাখ ৪৯ হাজার ডলারে উন্নীত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি।
২০১৯ সালে ওয়ালজ গভর্নর নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ও তার স্ত্রী, যিনিও একজন স্কুল শিক্ষক, তাদের মিনেসোটার বাড়ি বিক্রি করে গভর্নরের প্রাসাদে চলে যান। চার বেডরুমের বাড়িটি তারা ১৯৯৭ সালে ১ লাখ ৪৫ হাজার ডলারে কেনার পর ৩ লাখ ১৫ হাজার ডলারে তালিকাভুক্ত করেছিলেন।
তবে ওয়ালজের সম্পদের বেশিরভাগই হল তার অবসরকালীন সঞ্চয় অ্যাকাউন্টগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হল ২০৩০ সালের টার্গেট ডেট অবসরের তহবিল যার মূল্য ১ লাখ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
ওয়াল্জের মোট সম্পদ কত
ফোর্বসের অনুমান, টিম ওয়াল্জের মোট সম্পদের মূল্য মাত্র ১ মিলিয়ন ডলার। রাষ্ট্রীয়, ফেডারেল এবং সামরিক পেশার মাধ্যমে অর্জিত সরকারি পেনশনই তাদের সম্পদের সিংহভাগ।
জেডি ভ্যান্স
রিপাবলিকান ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর প্রকাশিত নথি অনুযায়ী, দুটি ব্যবসায় বড় অংশীদারত্ব এবং একটি মূল্যবান সম্পত্তিসহ তার মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে।
ভ্যান্স তার বেস্ট সেলিং বই ‘হিলবিলি এলিজি’র মাধ্যমে প্রথম নিজেকে স্পটলাইটে আনেন, যা ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়।
বইটির প্রকাশক হার্পার কলিন্স বলেছেন, ভ্যান্স ট্রাম্পের রানিংমেট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার আগে স্মৃতিকথাটি তিন মিলিয়নেরও (৩০ লাখ) বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল এবং জুলাইয়ে তার প্রার্থিতা ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে আরও ৬ লাখ ৫০ হাজার কপি বিক্রি হয়।
২০২০ সালে যখন বইটি নেটফ্লিক্স ফিল্ম হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল, তখন ৪০ বছর বয়সী ভ্যান্স আরও রয়্যালটি পান।
তবে ভ্যান্স সেই রয়্যালটি ছাড়াই প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন। তার সবচেয়ে বড় সম্পদ হল তার শোয়াব ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট, যার মূল্য মোটামুটি ২.২ মিলিয়ন এবং ৭.৫ মিলিয়র ডলারের মধ্যে।
এছাড়াও তিনি ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ মূল্যের তালিকভুক্ত সম্পত্তি, ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ডলার মূল্যের বিটকয়েন এবং ৩ লাখ ১৫ হাজার থেকে ৮ লাখ ১৫ হাজার ডলার মূল্যের চেকিং ও সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
তার স্ত্রী আইনজীবী ভি ঊষার হাতে থাকা বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ও বিনিয়োগ তহবিলও সম্পদের তালিকাভুক্ত করেছেন ভ্যান্স।
তার প্রকাশিত নথিতে ভ্যান্স মাত্র একটি বাড়ির কথা জানালেও ফোর্বস জানিয়েছে, তিনি তিনটি বাড়ির মালিক। একটি ওয়াশিংটন ডিসিতে যার আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আরেকটি সিনসিনাটিতে যার মূল্য প্রায় ১৮ লাখ ডলার এবং তৃতীয়টি ভার্জিনিয়ায় যার মূল্যও প্রায় ১৮ লাখ ডলার।
ওহাইওর একজন সেনেটর হিসেবে ভ্যান্সের বাৎসরিক বেতন ১ লাখ ৭৪ হাজার ডলার।
ভ্যান্সের মোট সম্পদ কত
গত জুলাইয়ে ফোর্বস অনুমান করে, জেডি ভ্যান্সের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার।
প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের বেতন কত
২০২৪ সালে ভাইস প্রেসিডেন্টের বার্ষিক বেতন বেড়ে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৬০০ ডলার হয়েছে, যা আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার ১০০ ডলার ছিল।
আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বার্ষিক বেতন ৪ লাখ ডলার।
তথ্যসূত্র : স্কাই নিউজ