Beta
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকির পর আদানির পাওনা পরিশোধে উদ্যোগী সরকার

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। ছবি : পিআইডি
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। ছবি : পিআইডি
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিতে ভারতের আদানি গ্রুপের দেওয়া হুমকির খবরের মধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত বকেয়া অর্থ পরিশোধের ঘোষণা এল।

রবিবার সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আদানি গ্রুপের ৭০০ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট বাকি আছে। সেটি দ্রুত সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করে দেওয়া হবে।

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব বলেন, “বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের আদানি গ্রুপ টাকা পায় এটা সত্য। আমরা তাদের পেমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে গতি বাড়িয়েছি। আগের যে বিল বকেয়া আছে সেটার জন্য মূলত দায়ী পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার। তারা বিশাল দেনা রেখে গেছে।”

বাংলাদেশের কাছে আদানি গ্রুপের বকেয়া এংব তা পরিশোধ না করতে পারলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকির বিষয়টি উঠে এসেছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়, বিলের অর্থ ৭ নভেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করতে বাংলাদেশ সরকারকে বলেছে আদানি গ্রুপ। তা না করলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে তারা।

আদানি গ্রুপ এরই মধ্যে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে বলেও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ প্রসঙ্গ টেনে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে রেমিটেন্স প্রবাহের গতি বেড়েছে। ফলে এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে হাত না দিয়েই আন্তর্জাতিক পেমেন্টগুলো করতে পারছি। ভারতের আদানি গ্রুপের বকেয়া পেমেন্ট দেওয়ার গতি বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে। সেই সক্ষমতা সরকারের আছে।”

গত মাসে আদানি গ্রুপকে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করা হয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, “যেটা আগস্ট বা আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুণ। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পেমেন্ট আরও দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

“পেমেন্ট ৭০০ মিলিয়ন ডলার বাকি আছে। সেটিও দ্রুত সময়ের মধ্যে করে দিতে পারব।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “আমরা কারও ওপর জ্বালানি নির্ভর হব না। নিজেরাই স্বয়ংসম্পর্ণ হব।”

বাংলাদেশের কাছে ৮৫ কোটি ডলার পাওনা হয়েছে ভারতের ব্যবসায়ী গোষ্ঠী আদানি গ্রুপের। এর আগে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল তারা। পাশাপাশি বকেয়া টাকা পরিশোধের নিশ্চয়তা পেতে গ্রুপটি বাংলাদেশের কাছে ১৭ কোটি ডলারের লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) চেয়েছিল।

পিডিবি যদিও কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এটি বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি অনুযায়ী ছিল না। এজন্য ডলার সংকটকে অন্যতম কারণ দেখানো হয়েছিল।

এর পরই আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে অর্ধেকে আনে। এতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংকট বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত