বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনে ঢাকায় এক শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মোজাহিদুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. ইমরান আহম্মেদের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানকে গত ৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এ মামলায় তাকে গত ২ নভেম্বর চার দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমদি দেয় ঢাকার সিএমএম আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলন চলাকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় নিহত হয় মাদরাসা শিক্ষার্থী মুনতাসির রহমান। এ ঘটনায় শাজাহান খানসহ ১৫৭ জনের নামে হত্যা মামলাটি হয়।
মামলায় শাজাহান খানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন বলা হয়, গত ২ নভেম্বর আসামিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ পূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামির কাছে থেকে মামলার ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা তদন্ত কাজে সহায়ক হবে। আসামির দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
গত ৫ নভেম্বর আসামির চার দিনের পুলিশ রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হলেও ৪ নভেম্বর আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল ছাড়পত্র দিলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে তদন্ত সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।