দুই বছর আগে শরীরে মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ার পর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন। ৫৫ বছর বয়সে সেই লড়াইয়ে হেরে গেলেন তিনি।
রোববার সকাল ৬টায় ঢাকার কল্যাণপুরের বাসায় মারা গেছেন আফরোজা হোসেন। তার মৃত্যুর তথ্য সামাজিক মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী মনিরা আক্তার মিঠু।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে জরায়ুর ক্যান্সার ধরা পড়ে আফরোজা হোসেনের। তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে মেরুদণ্ডের হাড়ে। চিকিৎসার জন্য ভারতেও নেওয়া হয়েছিল তাকে। গত বছরের শেষদিকে কিছুটা সুস্থ বোধ করলেও, অবশেষে হার মানতে হলো তাকে।
অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে নিয়মিত আফরোজার কথা হতো অভিনেত্রী মনিরা মিঠুর সঙ্গে। সময় পেলেই ছুটে যেতেন সহকর্মীকে দেখতে। যেতে না পারলে প্রায়ই কথা হতো মুঠোফোনে।
“জরায়ু ক্যানসার থেকে আফরোজা আপার ক্যানসার ফুসফুসে পর্যন্ত চলে যায়। যার চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। তিনি একাধিকবার ভারতে চিকিৎসা নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা ব্যয় অনেক বাড়তে থাকে। হাসপাতালেই ছিলেন, ১৫ দিন ধরে তিনি বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন,” মনিরা আক্তার মিঠু একটি গণমাধ্যমকে রোববার বলেন।
২০০৮ সালে প্রথম অভিনয় শুরু করেন আফরোজা হোসেন। বয়স্ক শিক্ষাকে আনন্দময় করে তুলতে ইউনেস্কো ও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় নাট্যজন মামুনুর রশীদ নির্মাণ করেছিলেন ‘আনন্দ পাঠ আসর’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটক। এটিই ছিল আফরোজার প্রথম অভিনীত নাটক।
তখন তিনি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় চাকরি করতেন। চাকরির ফাঁকে করতেন অভিনয়। তিনি মামুনুর রশীদ, জাহিদ হাসান, মাহফুজুর রহমান, কচি খন্দকারসহ অনেকের নির্মিত নাটকে অভিনয় করতে থাকেন। ২০১৩ সালে চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি অভিনয়ে মনোনিবেশ করেন।
তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন অনন্য মামুনের পরিচালনায় ‘আবার বসন্ত’ সিনেমায় অভিনয় করে।
এছাড়া ‘ঠেটারু’, ‘সূর্য অস্তের আগে’, ‘বিদেশি ছেলে’সহ একাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। তবে নাটক থেকে তার কাজ বেশি ছিল ইউনেসকো, ইউনিসেফ, ইউএনডিপি ও বিবিসির তথ্যচিত্রে।